এছাড়াও আমাদের এই পোস্টের মধ্যে আপনি এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বের করার উপায়ও খুঁজে পাবেন। তাই মনোযোগ না হারিয়ে বা অন্য কোথাও না গিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পোস্টটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।
ভূমিকা
ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র মানেই হলো মানুষের জাতীয় পর্যায়ের আইডেন্টিটি বা পরিচয়ের প্রমাণ পত্র। তাই জাতীয় পর্যায়ের যেকোন অফিশিয়াল কাজ করতে নিলে আমাদের ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হয়। কিন্তু যাদের ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়া মাত্র কিছুদিন হয়েছে আর এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে অফিশিয়াল ভাবে ভোটার আইডি কার্ড পাইনি তারা কিভাবে তাদের জীবনের এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কাজগুলো সম্পাদন করবে!
এই বিষয়টি অনেকের কাছেই অনেক বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এতে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা প্রতিটি সমস্যারই একটি বিকল্প সমাধান রয়েছে। যেটা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার সেই সমস্যাটা সমাধান করতে পারবেন। ঠিক তেমনি ভাবে আপনার ভোটার আইডি কার্ড আপনি যদি এখন পর্যন্ত না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য বা ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতি হলো অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পর সেই অনলাইন কপিটি ডাউনলোড করে নেওয়া।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা শিখে নিন
তবে এক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না যে, ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে অনলাইনে চেক করতে হয় এবং কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হয়। তাই এই ধরনের মানুষগুলো গুগলের সার্চ বারে অসংখ্যবার NID Card Online Check লিখে সার্চ দেয় কিংবা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড লিখে সার্চ দেয়।
তাই আমরা ঠিক করেছি যে, আমাদের এই পোস্টের মধ্যে আমরা ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ এবং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সরাসরি ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ এবং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায় সম্পর্কিত মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪
আমরা উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই জেনেছি যে, যারা সদ্য ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার আইডি কার্ড হাতে পায়নি তারা তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পাদন করতে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পর সেটা ডাউনলোড করে নিতে পারবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো শুধুমাত্র নতুন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্নকারী ব্যক্তিগণই যে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে বিষয়টা মোটেও এমন নয়।
আরও পড়ুন – অনলাইনে স্মার্ট কার্ড চেক
অর্থাৎ, যারা ইতিমধ্যেই তাদের ভোটার আইডি কার্ড পেয়েছেন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার মনে আছে কিন্তু হয়তো আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি হারিয়ে গেছে এবং এখন আপনি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার মাধ্যমে সাময়িক ভাবে সকল কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সমাধান খুঁজে নিতে চাচ্ছেন তারাও চাইলে আমাদের আজকের পোস্টে বর্ণিত ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ এবং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায় সমূহের মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আশা করছি বুঝতে পেরেছ যে, কারা কারা এই ধরনের ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে। চলুন এবার পর্যায়ক্রমিক ধাপ অনুসরণ করে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম বা ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ ধাপ-০১
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার স্মার্টফোনে কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে Services.nidw.gov.bd এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।আর আপনি যাতে সরাসরি উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে সক্ষম হন সেজন্য আমরা এখানে লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি। আপনি সরাসরি লিঙ্ক এর ওপর ক্লিক করে সহজেই উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম – জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
এবার Services.nidw.gov.bd এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর প্রথমেই আপনার সামনে একটি ওয়েবপেজ শো করবে। ঠিক যেমনটা নিম্নের ছবিতে দেখানো হয়েছে। এরপর আপনি যদি এখন পর্যন্ত আপনার ভোটার আইডি কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য প্রথমেই রেজিস্টার করুন অপশনটিতে ক্লিক করে নিতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ ধাপ-০২
উপরিউক্ত ধাপটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস আসবে। যেমনটা নিচের ছবিতে দেখানো হয়েছে। আর এখান থেকে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার অথবা ফর্ম নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী জন্ম তারিখ বসিয়ে এনআইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। তবে যারা এখনো ভোটার আইডি কার্ড পাইনি তাদের ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ডের নাম্বার জানা সম্ভব নয় বলে তারা প্রাথমিক অবস্থায় ফর্ম নাম্বার টাইপ করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবে।
এক্ষেত্রে যারা বুঝতে পারছেন না যে, ফর্ম নাম্বার বলতে আসলে কোন নাম্বারটিকে বোঝানো হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য বলব, আপনি যখন আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য প্রাথমিকভাবে হাতে লেখা ফরম পূরণ করে আবেদন করেছিলেন সেই আবেদন ফরমের নিচের অংশটুকু নির্বাচন কমিশন অফিসের কর্মকর্তারা ভোটার নিবন্ধন সম্পর্কিত যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন করার পর আপনাকে ফেরত দিয়েছিল। আর উক্ত ফর্মের এই নিচের অংশটুকুতে একটি ফর্ম নাম্বার উল্লেখ রয়েছে। এটাকেই মূলত ফর্ম নাম্বার বলা হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ ভিসা কিভাবে করতে হয়- ভিসা করতে কি কি লাগে-ভিসা করতে কত টাকা লাগে জেনে নিন
এখন এই ফর্ম নম্বর দিয়েই আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের কার্যাবলী সম্পাদিত করতে হবে। ফর্ম নাম্বার এবং জন্মতারিখ প্রথমের দুইটি ফাঁকা ঘরে বসানো কমপ্লিট হয়ে গেলে নিচে একটি ক্যাপচা দেওয়া থাকবে যেটা আপনাকে নির্ভুলভাবে সর্বশেষ ফাঁকা ঘরের মধ্যে বসাতে হবে। এরপর আপনি নীল রঙের সাবমিট অপশনটিতে ক্লিক করে দিবেন। আর ক্লিক করা হয়ে গেলেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক 2023 সম্পর্কিত দ্বিতীয় ধাপটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক [year] ধাপ-০৪
আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা দেওয়ার পর সাবমিট করে দিলেই আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। যেখানে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি কোড পাঠানোর জন্য আপনার পারমিশন চাওয়া হবে। আর এখানে মূলত সেই মোবাইল নাম্বারে ওটিপি কোড পাঠানোর জন্য পার্মিশন চাওয়া হবে যেই নাম্বারটি আপনি আপনার ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করার সময় ফর্মের মধ্যে উল্লেখ করেছিলেন।
এখন যদি উক্ত ইন্টারফেসের মধ্যে আপনি বার্তা পাঠান অপশনটি সিলেক্ট করেন তাহলে আপনার সেই মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি কোড চলে যাবে। কিন্তু যদি আপনি আপনার উক্ত মোবাইল নাম্বারটা পরিবর্তন করে নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পরিবর্তন করুন এই অপশনটিতে ক্লিক করে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে নিতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক [year] ধাপ-০৫
এরপরে আপনার মোবাইল নাম্বারে ওটিপি কোড চলে যাবে এবং ওটিপি কোড প্রদান করার জন্য নতুন একটি ইন্টারফেস চলে আসবে যেখানে আপনাকে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার ওটিপি কোডটি পূরণ করে বহাল অপশনে ক্লিক করতে হবে। কিন্তু যদি আপনি ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ওটিপি কোড প্রদান করতে ব্যর্থ হন তাহলে পুনরায় পাঠান এই অপশনে ক্লিক করে নতুন করে ওটিপি কোড নিয়ে নিতে হবে এবং সেই নতুন ওটিপি কোডটি পুনরায় ফাঁকা ঘরে বসিয়ে বহাল অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক [year] ধাপ-০৬
সঠিকভাবে ওটিপি কোড প্রদান করার পর যে নতুন ওয়েবপেজটি ওপেন হবে সেখানে আপনাকে প্রথমেই আপনার স্মার্টফোনে NID Wallet নামক একটি অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিয়ে পাশে থাকা QR কোডটি NID Wallet অ্যাপ এর মাধ্যমে স্ক্যান করতে বলা হবে। এই বিষয়টা আপনার যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি আমাদের নিম্ন উল্লেখিত ছবিটি দেখে নিতে পারেন। কেননা সেখানে সবকিছু খুব ভালোভাবে চিহ্নিত করে বোঝানো হয়েছে। এরপর আপনি এখানে নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করে নিবেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক [year] ধাপ-০৭
যখন আপনার স্মার্টফোনে NID Wallet অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করা কমপ্লিট হয়ে যাবে তখন এই অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করে নিয়ে আপনি উপরের ছবিতে উল্লেখিত QR কোডটি স্ক্যান করে নিবেন।আর স্ক্যান করা কমপ্লিট হয়ে গেলেই আপনাকে উক্ত অ্যাপটি পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। যেখানে মূলত আপনার ফেস স্ক্যান করার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। আর এখানে আপনি যখন অনুমতি প্রদান করে দিবেন তখন আপনার ফেস মোবাইলের সামনে ধরে ডানে, বামে ঘুরিয়ে এবং সামনে থেকে সোজাসোজি ভাবে ৩ বার স্ক্যান করে নিবে উক্ত অ্যাপটি।
ভোটার আইডি কার্ড চেক [year] ধাপ-০৮
উপরিউক্ত ধাপটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পর পরবর্তী ধাপে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ছবি এবং নাম সহ একটি ওয়েবপেজ দেখতে পাবেন। যেখানে আপনাকে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হবে। যাতে করে পাসওয়ার্ড সেট করার মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টটিকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ জন্ম তারিখ সংশোধন করার নিয়ম- জেনে নিন
তাই আমরা আপনাকে পরামর্শ দিব যে, আপনি অবশ্যই এখানে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করে নিবেন। কিন্তু যদি পাসওয়ার্ড সেট করাটা আপনার কাছে বিরক্তিকর মনে হয় তাহলে আপনি চাইলেই এই অপশনটিকে বাদ দিয়ে এড়িয়ে যান অপশনটি বেছে নিতে পারেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক [year] ধাপ-০৯
উপরিউক্ত সকল কার্যাবলী সফলভাবে সম্পাদন করার পর আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর যাবতীয় তথ্য সহ আপনার প্রোফাইল দেখতে পারবেন। অর্থাৎ, এই পর্যায়ে এসে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক [year] সম্পর্কিত যাবতীয় প্রক্রিয়া গুলো সম্পাদিত হয়ে যাবে। এখন আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে চান তাহলে নিম্নের আলোচনাটুকু পড়ুন। কেননা সেখানে আমরা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পদ্ধতি ছবি সহ উল্লেখ করেছি।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পদ্ধতি
আপনার যখন ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ সম্পর্কিত উপরিউক্ত প্রক্রিয়াগুলো সফলভাবে সম্পাদন করা হয়ে যাবে তখন আপনার সামনে আপনার এনআইডি কার্ডের প্রোফাইলের পেজটি ওপেন হয়ে যাবে। যেখানে বেশ কতগুলো অপশন আপনি দেখতে পাবেন। আর এই অপশন গুলো হলোঃ
- প্রোফাইল
- পাসওয়ার্ড পরিবর্তন
- স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস
- ডাউনলোড
- বিস্তারিত প্রোফাইল ইত্যাদি।
এখন আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে উপরের অপশন গুলোর মধ্য থেকে আপনাকে ডাউনলোড অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে এবং ক্লিক করলেই আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে। আমাদের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড সম্পর্কিত উপরোক্ত আলোচনা সমূহ যদি আপনার বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিম্নের ছবিটা ভালোভাবে দেখে নিন। কেননা ছবির মধ্যেই বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বের করার উপায়
আপনি যদি এখন পর্যন্ত আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার না জেনে থাকেন বা আপনার স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ডটি এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে না পেয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে আপনি যেমন অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড চেক করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন ঠিক তেমনভাবেই আপনি আপনার মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএস প্রেরণ করেও আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বের করতে পারবেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে আপনার ভোটার আবেদন ফর্মের ফর্ম নাম্বার।
আর এই ফর্ম নাম্বার থাকলেই আপনি আপনার মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করবেন NID space Date of Birth space Voter Slip Number, এবং এই ম্যাসেজটা ১০৫ নম্বরে পাঠিয়ে দিবেন। এরপর ম্যাসেজ পাঠানো সম্পন্ন হয়ে গেলে উক্ত ম্যাসেজের রিপ্লাই ম্যাসেজে নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আশা করছি এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বের করার উপায় সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে গিয়েছেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আমাদের এই পোস্টের মধ্যে ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ এবং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায় সম্পর্কিত যাবতীয় প্রক্রিয়া সমূহ ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। সেইসঙ্গে আমরা আমরা আমাদের এই পোস্টের মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বের করার উপায় সম্পর্কেও ব্যাখ্যা করেছি।
আশা করছি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং যেই উদ্দেশ্য নিয়ে আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়া শুরু করেছিলেন আপনার সেই উদ্দেশ্যটি সফল হয়েছে। তাহলে আমাদের আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।