আমাদের মধ্যে অনেকেই গুগলের সার্চ বারে surah nas বা sura nas bangla লিখে সার্চ করে সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ পড়তে চাই। তাই তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলে আমরা surah nas বা সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ (sura nas bangla) সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছি। তাই আপনিও যদি সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ (sura nas bangla) পড়তে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন এবং সূরা নাস (surah nas) এর বাংলা উচ্চারণ সহ পড়ার পাশাপাশি সূরা নাস এর বাংলা অর্থ, শানে নুযুল, তাফসীর এবং ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি সূরা নাস (surah nas) সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন এবং সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ (sura nas bangla) আরো সহজভাবে পড়ার জন্য এর পিডিএফ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
সূরা নাস (surah nas) সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী
আমাদের আজকের আলোচনার মুখ্য বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার পূর্বে সূরা নাস (surah nas) সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন। তাই এখন সূরা নাস (surah nas) সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী গুলো সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করব।
মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ প্রবিত্র আল কুরআনের সর্বশেষ সূরাটি হলো সূরা নাস (surah nas)। সেইসঙ্গে এই সূরাটি কুরআন মাজীদের সবগুলো সূরার মধ্যে ১১৪ নম্বর সূরা। সূরা নাসের রুকুর সংখ্যা ১টি। সূরা নাস (surah nas) এর অপর নাম “আন-নাস” যার বাংলা অর্থ হলো মানবজাতি। সূরা নাস (sura nas) হলো কুরআন মাজীদের মাদানী সূরা গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত একটি সূরা। কেননা পবিত্র কুরআনের এই সূরাটি মদিনা শহরে অবতীর্ণ হয়েছিল বা নাযিল হয়েছিল। এই সূরাটি সর্বমোট ৬টি আয়াতের সমন্বয় নাযিলকৃত একটি সূরা।
আরো পড়ুনঃ আলহামদুলিল্লাহ সূরা।alhamdulillah surah। surah-fatiha-bangla। সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ
মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনের প্রতিটি সূরা নাযিল করেছেন মানবজাতির বিভিন্ন কল্যাণের উদ্দেশে।মানবজাতির কল্যাণের উদ্দেশ্যে নাযিল বা অবতীর্ণ হওয়া কুরআন শরীফের প্রতিটি সূরার নাযিল হওয়ার পেছনের উদ্দেশ্য গুলো ভিন্ন ভিন্ন। সূরা নাস (sura nas) নাযিল হয়েছে মূলত শয়তান, জ্বীন কিংবা যাদু-টোনা কারী মানুষের অনিষ্ট হতে আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করার উদ্দেশ্যে। সূরা নাস (sura nas) তিলাওয়াত করার কিংবা নিয়মিত পাঠ করার গুরুত্ব এবং ফজিলত অপরিসীম।
সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ (sura nas bangla)
নিম্নে ৬টি আয়াতের সমন্বয়ে নাযিলকৃত সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ (sura nas bangla) ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলো। তাই আপনি যদি শুদ্ধভাবে সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ পড়তে চান তাহলে নিচের অংশটি ভালোভাবে পড়ে নিন।
আয়াত- ০১
قُل أَعوذُ بِرَبِّ النّاسِ
কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ।
আয়াত- ০২
مَلِكِ النّاسِ
মালিকিন্না-ছ।
আয়াত- ০৩
إِلٰهِ النّاسِ
ইলা-হিন্না-ছ।
আয়াত- ০৪
مِن شَرِّ الوَسواسِ الخَنّاسِ
মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ।
আয়াত- ০৫
الَّذى يُوَسوِسُ فى صُدورِ النّاسِ
আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-।
আয়াত- ০৬
مِنَ الجِنَّةِ وَالنّاسِ
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটির এই অংশে উল্লেখিত সূরা নাস (sura nas) এর বাংলা উচ্চারণ গুলো ভালোভাবে পড়ার মাধ্যমে আপনি এখন থেকে সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ পড়তে পারবেন। তারপরেও যদি আপনি সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ (sura nas bangla) সহজ ভাবে পড়ার জন্য এর পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে চান তাহলে নিচের লিংকের উপর চাপ দিয়ে ডাউনলোড করে নিন।
সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড
সূরা নাস এর অর্থ
আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ সূরা নাস (sura nas) পাঠ করে অথচ সূরা নাস এর অর্থ বা সূরা নাস এর বাংলা অর্থ (surah nas bangla) সম্পর্কে জানেনা। তাই এই ধরনের মানুষ যাতে সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ পড়ার পাশাপাশি সূরা নাস এর অর্থ কিংবা সূরা নাস এর বাংলা অর্থ জেনে সূরা নাস (sura nas) পাঠ করে অধিক সওয়াব লাভ করতে পারে সেজন্য আমরা এখন সূরা নাস এর অর্থ বা সূরা নাস এর বাংলা অর্থ (surah nas bangla) সমূহ নিম্নে উল্লেখ করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এই অর্থ গুলো জেনে নিন।
আয়াত- ০১
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার।
আয়াত- ০২
মানুষের অধিপতির।
আয়াত- ০৩
মানুষের মা’বুদের।
আয়াত- ০৪
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে।
আয়াত- ০৫
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে।
আয়াত- ০৬
জ্বীনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
সূরা নাস এর শানে নুযুল
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে সূরা নাস নাযিল হয়েছিল শয়তান, জ্বীন কিংবা যাদু-টোনা কারী মানুষের অনিষ্ট হতে আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করার উদ্দেশ্যে। এবার আমরা সূরা নাস এর শানে নুযুল সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন সূরা নাস এর শানে নুযুল সম্পর্কে জেনে নেই।
মুসনাদে আহমদে বর্ণিত রয়েছে যে, একদা এক সময় লাবীদ ইবনে আসাম নামক একজন ইহুদী এবং তার কন্যারা রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর যাদু করেছিলেন। যার ফলে রসুলুল্লাহ (সাঃ) অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন জিব্রাইল (আঃ) আগমন করে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে সংবাদ দিলেন যে লাবীদ ইবনে আসাম নামক একজন ইহুদী এবং তার কন্যারা রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর যাদু করেছে। আর এই যাদু চুল এবং চিরুনির দ্বারা করা হয়েছে। তারপর সূরা নাস এবং সূরা ফালাক একই সঙ্গে নাযিল হয় রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর থেকে যাদু-টোনা নষ্ট করার জন্য।
আরো পড়ুনঃ সূরা কাউসার – ইন্না আতাইনা কাল কাওসার এর বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা
অতঃপর জিব্রাইল এর বর্ণনা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেই চুল এবং চিরুনিটি খেজুর ফলের আবরনীতে “যারওয়ান” নামক কূপের মধ্যে থাকা একটি পাথরের নিচ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। এই চুল এবং চিরুনি দুইটিতে কয়েকটি গিরা বাধা ছিল। রসুলুল্লাহ (সাঃ) এই গিরা গুলোর প্রতিটিতে সূরা নাস এবং সূরা ফালাক পড়ে ফু দিলেন। তারপর ফু দেওয়ার সাথে সাথে গিরা গুলো খুলে যায়। যার ফলে তৎক্ষণাত রসুলুল্লাহ (সাঃ) সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং তিনি তার শয্যা ত্যাগ করেন।
এই ঘটনার পর থেকে শয়তান, জ্বীন এবং যেকোন যাদু-টোনা কারী মানুষের অনিষ্ট হতে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মহান আল্লাহতালা মানবজাতিকে সূরা নাস এবং সূরা ফালাক এই দুটি সূরা পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও হাদিস শরীফে বর্ণনা রয়েছে যে, “কোন ব্যক্তি যদি ফজরের নামাজ এবং মাগরিবের নামাজের পর সূরা ইখলাস, সূরা নাস এবং সূরা ফালাক পাঠ করে তাহলে সেই ব্যক্তি যেকোন বিপদ-আপদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।” (হাদিস নং ২৯০৩, জামে তিরমিযী, হাদিস ২/১৫৪ সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং ১৯২৬৬ মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ১৫২৩, সুনানে আবু দাউদ)
সূরা নাস এর তাফসীর
তাফসীর বলতে সাধারণত কোন বিষয়ের ভাবার্থ বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করাকে বোঝায়। সুতরাং, সূরা নাসের তাফসীর বলতে সূরা নাস এর প্রতিটি আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক মানুষের কাছে তার যে সমস্ত বাণীগুলো পাঠিয়েছেন সেগুলোর বিস্তারিত তাৎপর্য সহ ব্যাখ্যা করাকে বোঝায়। তাই নিম্নে সূরা নাস এর তাফসীর প্রতিটি আয়াতের ক্রমানুসারে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলোঃ
আয়াত (০১-০৩):
قُل أَعوذُ بِرَبِّ النّاسِ – مَلِكِ النّاسِ – إِلٰهِ النّاسِ অর্থ,”বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার। মানুষের অধিপতির। মানুষের মা’বুদের।”
সূরা নাস এর প্রথম ৩টি আয়াত দ্বারা মহান আল্লাহ পাকের ৩টি গুন উল্লেখ করে আল্লাহ তা’আলার মাহাত্ন্য প্রকাশ করার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার নিকট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাকের এই ৩টি গুণ হলো “পালনকর্তা”, “অধিপতি” এবং “মাবুদ”। এখানে পালনকর্তা বলতে আল্লাহ পাকের সমস্ত সৃষ্টি জগতের মানুষ, পশুপাখি এবং জীবজন্তুকে সৃষ্টি করে এই পৃথিবীতে পাঠানো থেকে মৃত্যু পর্যন্ত লালন-পালন করার গুণাবলী স্বীকার করা হয়েছে।
এরপর অধিপতি বলতে মহান আল্লাহকে এই সৃষ্টি জগতের একমাত্র বাদশা বা রাজা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।অর্থাৎ, মহান আল্লাহ তা’আলার হুকুম অনুযায়ী পৃথিবীর সমস্ত কিছু পরিচালিত হয় এবং মহান আল্লাহ তা’আল্লাই হলেন পৃথিবীর একমাত্র বাদশা বা রাজা। তারপরে তৃতীয় যে গুণটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা হলো মাবুদ। এখানে মাবুদ বলতে আল্লাহ পাক যে মানুষের একমাত্র মাবুদ সেই বিষয়টা বোঝানো হয়েছে।
অর্থাৎ, মানুষের ইবাদত পাওয়ার একমাত্র যোগ্য হলেন মহান আল্লাহ তা’আলা। সূরা নাসের প্রথম ৩ আয়াতে মহান আল্লাহ তা’আলার উক্ত ৩টি গুণের কথা উল্লেখ করা পূর্বক মানবজাতিকে আল্লাহ তা’আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে।
আয়াত (০৪-০৬):
مِن شَرِّ الوَسواسِ الخَنّاسِ – الَّذى يُوَسوِسُ فى صُدورِ النّاسِ – مِنَ الجِنَّةِ وَالنّاسِ অর্থঃ “তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে। জ্বীনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।”
সূরা নাসের উপরিউক্ত ৩টি আয়াতের মাধ্যমে শয়তানের অনিষ্ট থেকে, জ্বীনের অনিষ্ট থেকে এবং মানুষের মধ্যে কুমন্ত্রণা দানকারী কিংবা হিংসুক যাদু-টোনা কারী মানুষের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ পাকের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে। কেননা মহান আল্লাহ পাক এই পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, আশ্রয়দাতা এবং যে কোন বিপদ-আপদে একমাত্র হেফাজতকারী।
সুতরাং, যেকোনো ধরনের বিপদ-আপদ কিংবা শয়তান, জ্বীন এবং মানুষের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করার একমাত্র ক্ষমতা কেবল মহান আল্লাহ পাক এর কাছেই রয়েছে। তাই মানবজাতি তাদের যেকোন ধরনের বিপদ-আপদে যাতে আল্লাহু তা’আলার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে নিজেকে রক্ষা করতে পারে সেজন্য সূরা নাস নাযিল করা হয়েছে।
সূরা নাস এর ফজিলত
সূরা নাস কুরআন মাজীদের সূরা গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম ফজিলত পূর্ণ সূরা। সূরা নাস এর ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বিভিন্ন রকম ফজিলতের কথা উল্লেখ রয়েছে। হাদিসে উল্লেখিত সূরা নাস এর ফজিলত গুলো নিম্নে পর্যায়ক্রমিকভাবে উল্লেখ করা হলোঃ
- হযরত আয়েশা (রাঃ) এর বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছে যে, “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে নিজের দুই হাত একসাথে মিলিয়ে নিতেন এরপর সূরা নাস, সূরা ফালাক এবং সূরা ইখলাস পড়ে দুই হাতে ফু দিতেন। তারপর নিজের মাথা, মুখমণ্ডল এবং শরীরের সামনের দিক থেকে শুরু করে নিজের শরীরের যতটুকু অংশ হাত বুলানো সম্ভব ততটুকু অংশে দুই হাত দিয়ে হাত বুলিয়ে নিতেন। আর এই কাজটি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মোট ৩ বার করতেন”। (বুখারী শরীফ)
- রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এক হাদিসে বর্ণনা করেছেন যে, “যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ ফজরের নামাজের পর এবং মাগরিবের নামাজের পর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস এই ৩টি সূরা পাঠ করবে সেই ব্যক্তি যেকোনো ধরনের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত থেকে সুরক্ষিত থাকবে”। (তিরমিযী শরীফ)
- অন্য এক হাদিসের বর্ণনা এসেছে- “ফজরের ওয়াক্ত এবং মাগরিবের ওয়াক্তের ফরজ সালাতের পর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস ৩ বার করে পাঠ করা সুন্নত। সেইসঙ্গে অন্যান্য ওয়াক্তের ফরজ সালাতের পর এই ৩টি সূরা ১ বার করে পাঠ করার কথাও বলা হয়েছে উক্ত হাদিসে”। (আবু দাউদ)
- হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “আমি তোমাদেরকে এমন ৩টি সূরার কথা বলছি যেগুলো তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর ও কুরআনে অবতীর্ণ হয়েছে। আর রাতে তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঘুমাতে যেও না যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ কর”। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
- হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “তোমার কি জানা নেই আজ রাতে আমার উপর যে আয়াতগুলো নাযিল হয়েছে এই আয়াত গুলোর মত কোন আয়াত অন্য কোথাও দেখা যায়নি এবং শোনা যায়নি। আর এই আয়াতগুলো হলো কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরাব্বিন নাস”। (মুসলিম)
উপরে উল্লেখিত ফজিলত গুলোই হলো সূরা নাস এর ফজিলত সমূহের মধ্যে প্রধান প্রধান ফজিলত। তাই সূরা নাস এর ফজিলত লাভের জন্য নিয়মিত সূরা নাস পাঠ করুন এবং আমল করুন। কেননা সূরা ফালাক এবং সূরা ইখলাস এর সঙ্গে সূরা নাস উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত আমল করলে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভ করা সম্ভব, গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং যেকোন ধরনের বালা-মুসিবত সহ শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহঃ শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ (surah nas bangla), সূরা নাস এর অর্থ, সূরা নাস এর শানে নুযুল, সূরা নাস এর তাফসীর এবং সূরা নাস এর ফজিলত সমূহ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় আপনি এখন সূরা নাস বাংলা উচ্চারণ সহ (surah nas bangla) খুব সহজেই পড়তে পারবেন। আর যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে না পড়ে থাকেন তাহলে এখনি পড়ে নিন। সেইসঙ্গে পরবর্তীতে এইরকম নতুন নতুন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। ধন্যবাদ।