পেনড্রাইভ কি। Pendrive ki । পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস

মাউস কি- মাউস কি ধরনের ডিভাইস

পেনড্রাইভ কি-Pendrive ki-পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস-আমরা যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করি তারা সকলেই কম বেশি পেনড্রাইভ সম্পর্কে অবগত আছি। আজকের দিনে পেনড্রাইভ ব্যবহার করে খুব সহজেই কম্পিউটারের ফাইল বা নথিপত্র এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা যায়। সহজে বহনযোগ্য ও ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ায় এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

আজকের পোষ্টে আমরা জানব পেনড্রাইভ কি বা Pendrive ki বা পেনড্রাইভ কাকে বলে, পেনড্রাইভ এর অপর নাম কি, পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস বা পেনড্রাইভ কি ধরনের মেমোরি, মোবাইলে পেনড্রাইভ ব্যবহার, কিভাবে পেনড্রাইভ বুটেবল করতে হয় ইত্যাদি পেনড্রাইভ সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে।

পেনড্রাইভ-কি-পেনড্রাইভ-কি-ধরনের-ডিভাইস

পেনড্রাইভ কি । Pendrive ki । পেনড্রাইভ কাকে বলে

পেন ড্রাইভ একটি পোর্টেবল মেমোরি স্টোরেজ   ডিভাইস। এটা দিয়ে খুব সহজে ফাইল, অডিও, ভিডিও, সফটওয়্যার  এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করা যায় এবং  খুব দ্রুত এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা যায়। এই ডিভাইসটি এতই ছোট যে, যে কেউ এটি পকেটে বা ব্যাগে করে সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজে বহন করতে পারেন এবং মূল্যবান তথ্য সবসময় পেনড্রাইভে রেখে তা ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে পেন ড্রাইভ কে আমরা এই ভাবে বলতে পারি যে পেন অর্থ কলম আর ড্রাইভ হচ্ছে সহজে বহনযোগ্য।  কলমের মতো দেখতে সহজে বহন যোগ্য মেমোরি স্টোরেজ পোর্টেবল ড্রাইভ কে পেন ড্রাইভ বলে। পেন ড্রাইভ এর মেমোরি স্টোরেজ ধারণ ক্ষমতা সাধারণত ৫১২ মেগাবাইট থেকে ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত হতে পারে।

পেনড্রাইভ এর অপর নাম কি

পেনড্রাইভ এর অপর নাম ইউএসবি  ফ্ল্যাশ ড্রাইভ যা  USB স্টিক, USB থাম্ব ড্রাইভ বা পেন ড্রাইভ নামেও পরিচিত।  এটি একটি প্লাগ-এন্ড-প্লে পোর্টেবল স্টোরেজ ডিভাইস যা ফ্ল্যাশ মেমরি ব্যবহার করে এবং একটি সিপিইউ এর সাথে সংযুক্ত করার জন্য যথেষ্ট হালকা। একটি কমপ্যাক্ট ডিস্কের জায়গায় একটি USB ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা পেন ড্রাইভ ব্যবহার করা যেতে পারে।

পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস । পেনড্রাইভ কি ধরনের মেমোরি

পেনড্রাইভ, যা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, USB ড্রাইভ, থাম্ব ড্রাইভ নামেও পরিচিত। পেনড্রাইভ হলো এক ধরণের ডেটা স্টোরেজ ডিভাইস যা কম্পিউটারের ডেটা স্থানান্তর এবং সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ছোট, পোর্টেবল এবং ব্যবহারে সহজ হওয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

পেনড্রাইভের প্রধান বৈশিষ্ট্য

  • USB ইন্টারফেস: কম্পিউটারের সাথে পেনড্রাইভের সংযোগ স্থাপন করতে USB পোর্ট ব্যবহার করে।
  • ফ্ল্যাশ মেমরি: ডেটা স্টোর করার জন্য ফ্ল্যাশ মেমরি ব্যবহার করে, যা দ্রুত, টেকসই এবং অ-ব্যাটারি চালিত।
  • ছোট আকার: আকারে ছোট হওয়ায় পকেটে সহজেই বহন করা যায়।
  • উচ্চ ক্ষমতা: বিভিন্ন স্টোরেজ ক্ষমতায় পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে গিগাবাইট (GB) এবং টেরাবাইট (TB)।
  • প্লাগ অ্যান্ড প্লে: ব্যবহারের জন্য কোন সফ্টওয়্যার ইনস্টল করার প্রয়োজন হয় না, সরাসরি ব্যবহার করা যায়।
  • বহুমুখিতা: বিভিন্ন ধরণের ডেটা স্টোর করতে পারে, যেমন সঙ্গীত, ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট, অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি।

পেন ড্রাইভ এর কাজ কি

পেন ড্রাইভের সাহায্যে অনেক কাজ করা যায়। পেন ড্রাইভের উল্লেখ্যযোগ্য প্রধান কাজ হলো নিন্মরুপ:

  • ডেটা স্থানান্তর: এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সহজেই ডেটা স্থানান্তর করা যায়।
  • ব্যাকআপ: গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এবং ফোল্ডারের ব্যাকআপ তৈরি করা যায়।
  • পোর্টেবল স্টোরেজ: ভ্রমন করার সময় প্রয়োজনীয় ডাটা সাথে রাখা যায়।
  • বুটেবল ড্রাইভ তৈরি: অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য বুটেবল ড্রাইভ তৈরি করা যায়।
  • অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল: পোর্টেবল অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল এবং ব্যবহার করা যায়।
  • অন্যান্য: মিউজিক প্লেয়ার, ভিডিও প্লেয়ার, ফটো অ্যালবাম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

মোবাইলে পেনড্রাইভ ব্যবহার

অনেকে প্রশ্ন করে মোবাইলে কি পেনড্রাইভ ব্যবহার করা সম্ভব? হ্যাঁ, বেশিরভাগ আধুনিক স্মার্টফোনে পেনড্রাইভ ব্যবহার করা সম্ভব। তবে কিছু শর্ত পূরণ করলেই আপনি আপনার মোবাইলে পেনড্রাইভ থেকে ডেটা অ্যাক্সেস, স্থানান্তর এবং সংরক্ষণ করতে পারবেন।

মোবাইলে পেনড্রাইভ ব্যবহার করার প্রয়োজনীয় শর্তাবলী

  • OTG (On-The-Go) অ্যাডাপ্টার: আপনার মোবাইল ফোনে USB পোর্টে পেনড্রাইভ সংযোগ করার জন্য একটি OTG অ্যাডাপ্টার প্রয়োজন।
  • Android সংস্করণ: Android 4.0 বা তার উচ্চতর সংস্করণের প্রয়োজন।
  • পেনড্রাইভ ফর্ম্যাট: FAT32 বা exFAT ফর্ম্যাটে ফর্ম্যাট করা পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে হবে।

মোবাইলে পেনড্রাইভ ব্যবহার করার পদ্ধতি

  1. OTG অ্যাডাপ্টার সংযুক্ত করুন: প্রথমে, OTG অ্যাডাপ্টারটি আপনার মোবাইল ফোনের USB পোর্টে সংযুক্ত করুন।
  2. পেনড্রাইভ সংযুক্ত করুন: OTG অ্যাডাপ্টারের সাথে আপনার পেনড্রাইভ সংযুক্ত করুন।
  3. ফাইল ম্যানেজার খুলুন: আপনার মোবাইল ফোনের ফাইল ম্যানেজার অ্যাপ্লিকেশনটি খুলুন।
  4. পেনড্রাইভ অ্যাক্সেস করুন: ফাইল ম্যানেজারে, “External Storage” অথবা “USB Storage” নামক একটি ডিভাইস দেখতে পাবেন। এটি আপনার সংযুক্ত পেনড্রাইভ।
  5. ডেটা অ্যাক্সেস ও ব্যবহার করুন: এবার আপনি পেনড্রাইভের মধ্যে থাকা ফাইল এবং ফোল্ডারগুলি অ্যাক্সেস, দেখতে, স্থানান্তর এবং সংরক্ষণ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: কম্পিউটারের জনক কে

মোবাইলে পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে কিছু বিষয় জানা জরুরী

  • সব মোবাইল ফোন OTG সমর্থন করে না: কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার ফোন OTG সমর্থন করে কিনা।
  • ফাইল ফর্ম্যাট: সব ফাইল ফর্ম্যাট মোবাইল ফোনে সাপোর্টেড নাও হতে পারে।
  • স্টোরেজ স্পেস: আপনার মোবাইল ফোনের অভ্যন্তরীণ স্টোরেজের চেয়ে পেনড্রাইভে কম স্টোরেজ স্পেস থাকতে পারে।
  • ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার: অপরিচিত উৎস থেকে ডাউনলোড করা ফাইল থেকে সতর্ক থাকুন কারণ এতে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থাকতে পারে।
  • সুরক্ষা: গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সুরক্ষার জন্য পাসওয়ার্ড সুরক্ষা ব্যবহার করুন।

পেনড্রাইভ ব্যবহারের সুবিধা

পেন ড্রাইভ ব্যবহারের সুবিধা সমুহ নিন্মরুপ:

  • পোর্টেবল: ছোট এবং হালকা হওয়ায় সহজেই বহন করা যায়।
  • দ্রুত ডেটা স্থানান্তর: USB 2.0, USB 3.0, USB 3.1, USB 3.2 ইত্যাদি বিভিন্ন ইন্টারফেস ব্যবহার করে দ্রুত ডেটা স্থানান্তর করতে পারে।
  • ব্যবহারে সহজ: প্লাগ অ্যান্ড প্লে ডিভাইস, কোনও বিশেষ সফ্টওয়্যার ইনস্টল করার প্রয়োজন নেই।
  • স্থায়ী: টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী।
  • সাশ্রয়ী মূল্যের: বিভিন্ন ধরনের স্টোরেজ ক্ষমতা এবং দামে পাওয়া যায়।

পেনড্রাইভ ব্যবহারের অসুবিধা

প্রত্যেকটা জিনিসের সুবিধা অসুবিধা দুটোই থাকে। তেমনি পেন ড্রাইভ ব্যবহারেরও কিছু অসুবিধা রয়েছে। পেন ড্রাইভ ব্যবহারের অসুবিধাগুলো নিন্মরুপ:

  • সীমিত স্টোরেজ ক্ষমতা: হার্ড ড্রাইভ বা SSD-এর তুলনায় অনেক কম।
  • দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে: ছোট এবং ভঙ্গুর হওয়ায় দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের ঝুঁকি: ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারের সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে।
  • ডেটা হারানোর সম্ভাবনা: ভুলভাবে আনপ্লাগ করা, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, বা ভাইরাস আক্রমণের ফলে ডেটা হারিয়ে যেতে পারে।
  • চুরির ঝুঁকি: ছোট এবং মূল্যবান হওয়ায় চুরির ঝুঁকিতে থাকে।
  • গতি: হার্ড ড্রাইভ বা SSD-এর তুলনায় গতি কম হতে পারে।
  • সামঞ্জস্যপূর্ণতা: সকল কম্পিউটার সকল ধরণের পেন ড্রাইভ সমর্থন করে না। পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম কিছু নতুন ফর্ম্যাট (যেমন exFAT) সমর্থন নাও করতে পারে। কেনার আগে আপনার কম্পিউটারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণতা নিশ্চিত করুন।

পেন ড্রাইভ এর দাম কত

পেন ড্রাইভের দাম নির্ভর করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর:

স্টোরেজ ক্ষমতা:

  • স্টোরেজ ক্ষমতা প্রধান নির্ধারক
  • উচ্চ ক্ষমতা (যেমন 64GB, 128GB, 256GB) বেশি দামি হবে।
  • কম ক্ষমতা (যেমন 8GB, 16GB) তুলনামূলক কম দামি

ইন্টারফেস:

  • USB 3.0, USB 3.1, USB 3.2 ইত্যাদি দ্রুত ইন্টারফেস বেশি দামি
  • USB 2.0 ধীর ইন্টারফেস তুলনামূলক কম দামি

ব্র্যান্ড:

  • বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড (যেমন SanDisk, Sony, Kingston) বেশি দামি
  • কম পরিচিত ব্র্যান্ড তুলনামূলক কম দামি

অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য:

  • ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ, শকপ্রুফ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য দাম বাড়িয়ে তুলতে পারে
  • পাসওয়ার্ড সুরক্ষা, এনক্রিপশন ইত্যাদি সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য দাম বাড়াতে পারে

বাংলাদেশের বাজারে (জুন ২০২৪), কিছুটা ধারণা দেওয়ার জন্য:

  • ৮জিবি পেন ড্রাইভ: ৳ 250 – ৳ 500
  • ১৬জিবি পেন ড্রাইভ: ৳ 350 – ৳ 700
  • ৩২জিবি পেন ড্রাইভ: ৳ 500 – ৳ 1200
  • ৬৪জিবি পেন ড্রাইভ: ৳ 800 – ৳ 2000
  • ১২৮জিবি পেন ড্রাইভ: ৳ 1500 – ৳ 4000
  • ২৫৬জিবি পেন ড্রাইভ: ৳ 3000 – ৳ 8000

পেনড্রাইভ কেনার আগে যা জানা জরুরী

আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী ভালো পেনড্রাইভ কেনার জন্য, নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করুন:

১. স্টোরেজ ক্ষমতা:

  • আপনার কত ডেটা সংরক্ষণ করতে হবে তা নির্ধারণ করুন।
  • গান, ছবি, ভিডিওর জন্য, 16GB – 64GB যথেষ্ট হতে পারে।
  • বড় ফাইল যেমন মুভি, গেমসের জন্য, 128GB বা তার বেশি ক্ষমতা প্রয়োজন।

২. ইন্টারফেস:

  • USB 3.0, USB 3.1, USB 3.2 দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার স্পিড প্রদান করে।
  • USB 2.0 ধীর তবে সাধারণত কম দামি।
  • নতুনতম ইন্টারফেস ব্যবহার করুন যদি আপনার দ্রুত গতি প্রয়োজন হয়।

৩. ব্র্যান্ড:

  • Kingston, SanDisk, Sony, Samsung এর মতো বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বেছে নিন।
  • ভালো ওয়ারেন্টি প্রদান করে এমন ব্র্যান্ড কিনুন।

৪. অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য:

  • ওয়াটারপ্রুফ, শকপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ হলে টেকসই হবে।
  • পাসওয়ার্ড সুরক্ষা, এনক্রিপশন থাকলে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সুরক্ষিত থাকবে।

৫. দাম:

  • আপনার বাজেট নির্ধারণ করুন।
  • বিভিন্ন দোকানের দাম তুলনা করুন।
  • অনলাইন রিভিউ পড়ুন।

আরও পড়ুন: কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

কিছু জনপ্রিয় পেনড্রাইভ ব্র্যান্ড:

  • Kingston
  • SanDisk
  • Sony
  • Samsung
  • Toshiba
  • HP
  • PQI
  • Transcend

বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় অনলাইন শপ:

পেনড্রাইভ কেনার কিছু টিপস:

  • কেনার আগে পেনড্রাইভের রিভিউ পড়ুন।
  • বিক্রেতার কাছ থেকে ওয়ারেন্টি চেক করুন।
  • ডেটা ট্রান্সফার স্পিড পরীক্ষা করে কিনুন।
  • গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ রাখুন।

এই তথ্য আপনাকে ভালো পেনড্রাইভ কিনতে সাহায্য করবে বলে আশা করি।

পেনড্রাইভ কেনার সময় মনে রাখবেন:

  • দাম দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।
  • উল্লেখিত দামগুলি ঢাকার বাজারের জন্য।
  • আপনার এলাকার দাম আলাদা হতে পারে।

পেনড্রাইভ কি? পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন: পেনড্রাইভ কি?

উত্তর: পেনড্রাইভ, যা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, USB ড্রাইভ, থাম্ব ড্রাইভ নামেও পরিচিত, হলো একটি ছোট, পোর্টেবল ডেটা স্টোরেজ ডিভাইস যা USB পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারে সংযুক্ত করা যায়। এটি ডেটা স্থানান্তর, সংরক্ষণ এবং ব্যাকআপ নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন: পেনড্রাইভ কীভাবে কাজ করে?

উত্তর: পেনড্রাইভে ফ্ল্যাশ মেমোরি চিপ ব্যবহার করা হয় যা ডেটা অ-বাস্পশীলভাবে সংরক্ষণ করে। এর মানে হল যে ডিভাইসটি বন্ধ থাকলেও ডেটা হারিয়ে যাবে না।

প্রশ্ন: পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস?

উত্তর: পেনড্রাইভ হলো এক ধরণের ডেটা স্টোরেজ ডিভাইস যা কম্পিউটারের ডেটা স্থানান্তর এবং সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন: পেনড্রাইভ এর অপর নাম কি?

উত্তর: পেনড্রাইভ এর অপর নাম ইউএসবি  ফ্ল্যাশ ড্রাইভ যা  USB স্টিক, USB থাম্ব ড্রাইভ বা পেন ড্রাইভ নামেও পরিচিত।

পেনড্রাইভ কি? পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস – শেষ কথা

বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পেনড্রাইভ কি, পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস, পেনড্রাইভের কাজ কি, পেনড্রাইভ ব্যবহারের সুবিধ-অসুবিধা  ইত্যাদি সম্পর্কে সকল  ধরনের তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি পেনড্রাইভ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদি আমাদের আজকের পোষ্টে পেয়ে যাবেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের তথ্যমূলক ‍আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়ে থাকে নিয়মিত। আপনারা যারা এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান তারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন। আশাকরি বিভিন্ন ইনফরমেটিভ বা তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে পারবেন প্রতিনিয়ত। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

আরও পড়ুন:

কম্পিউটার কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি
প্রিন্টাক কি? প্রিন্টার কত প্রকার ও কি কি
মনিটর কি? মনিটর এর কাজ কি
কম্পিউটারের মূল অংশ কয়টি ও কি কি?

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন:

Leave a Comment