ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর এর গুরুত্ব অনুধাবন করতঃ আমাদের আজকের পোষ্টটি সাজানো হয়েছে। আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা জানব, ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর কি, ফিতরা অর্থ কি, ফিতরা কখন দিতে হয়, ফিতরার পরিমাণ। ফিতরার পরিমাণ কত, সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ, ফিতরা দেয়ার নিয়ম, ফিতরা দেওয়ার নিয়ম, ফিতরা কত টাকা ২০২৫ ইত্যাদি বিষয়গুলো। আশা করি সম্পূর্ণ পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
Also Read
- তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজের নিয়ত কি জেনে নিন বিস্তারিত
- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আরবি লেখা
- মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া
ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর কি?
ফিতরা বা ফেতরা আরবী শব্দ, যা ইসলামে যাকাতুল ফিতর বা সাদাকাতুল ফিতর নামে অভিহিত। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে বলা হয় ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর। এই দানকে জাকাতুল ফিতরও বলা হয়ে থাকে। সারাদিন রোজা থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতার এর মাধ্যমে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষান্তে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকালের আহারের যাকাত বলা হয়। নারী-পুরুষ, স্বাধীন-পরাধীন, শিশু-বৃদ্ধ, ছোট-বড় সকল মুসলিম নর-নারীর জন্য ফিতরা বা ফেতরা প্রদান করা ওয়াজিব।
ফিতরা অর্থ কি?
ফিতরা বা ফেতরা আরবী শব্দ, যাকে ইসলামে যাকাতুল ফিতর (ফিতরের যাকাত) বা সাদাকাতুল ফিতর (ফিতরের সদকা) নামে পরিচিত করা হয়েছে। ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হ্যযেছে যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন
ফিতরা কখন দিতে হয়
ফিতরা দেওয়ার উপযুক্ত সময় হলো ঈদ-উল-ফিতর এর দিন সুুুবহে সাদিক এর পর থেকে ঈদের নামাজের পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত । তবে এর আগে ফিতরা আদায়ে কোনো বিধি নিশেষ নেই। এছাড়া কেউ যদি কোনো কারণে ঈদের নামাজের আগে ফিতরা আদায় করতে না পারে তবে ঈদের পরেও তা আদায় করতে পারবে। তবে আমাদের প্রিয় নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বেই ফিতরা আদায় করতেন, যাতে গরিব-অসহায় মানুষ এই টাকায় কেনাকাটা করে ধনীদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয়
ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে
প্রকৃত হকদারকেই ফিতরা দিতে হবে। যাকে তাকে ফিতরা দেওয়া যাবে না। কাকে ফিতরা দেওয়া যাবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এবং সেটা হল-
যাদের যাকাত পাওয়ার অধিকার আছে। তারা সাদাকাহ ফিতরের হকদার। যেসব খাত ও ব্যক্তি জাকাতের অধিকারী নয়, তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে না। পবিত্র কুরআনের সূরা তওবার ৬০ নং আয়াত দ্বারা এই বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আল্লাহ বলেনঃ
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত শুধুমাত্র ফকির, গরীব, যাকাত আদায়কারী এবং যাদেরকে চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরদের মুক্তির জন্য। ইহাই হলো আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা তওবা: আয়াত ৬০)
মনে রাখতে হবে- হাদিসে উল্লেখিত গম, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির হচ্ছে ফিতরা পণ্য। এসব পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করলে গবীর মানুষের কোনো লাভ হবে না। তাই এসব পণ্যের সমপরিমাণ অর্থ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হলে গরিব মানুষ উপকৃত হবে এবং এটি দরিদ্র এবং অসহায় মানুষের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজনীয়তা দূর করবে।
ফিতরা আদায়ের সর্বোত্তম উপায়- পরিবারের মধ্যে যারা দরিদ্র ও অসহায় তারাই প্রথম ফিতরার হকদার। আর কাউকে অন্তত একটি পূর্ণ ফিতরা দেওয়া উত্তম। প্রয়োজনের ভিত্তিতে একজনকে একাধিক ব্যক্তির ফিতরাও দেওয়া যেতে পারে। এতে গরিব-অসহায় ব্যক্তিদের এই অর্থে উপকার হয় যে, ফিতরার এই অর্থ যেকোনো উপযুক্ত উপায়ে ব্যবহার করতে পারে।
ফিতরার পরিমাণ। ফিতরার পরিমাণ কত?। সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ সম্পর্ক হাদিসে মোট ০৫ প্রকার খাদ্যের বর্ণনা পাওয়া যায়। যথা-যব, খেজুর, পনির, কিসমিস ও গম।
হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে-
أدوا عن كل حر وعبد صغير أو كبير نصف صاع من بر أو صاعا من تمر أو صاعا من شعير
অর্থ: ‘তোমরা প্রত্যেক স্বাধীন ব্যক্তি এবং গোলামের (ছোট কিংবা বড়) পক্ষ থেকে আধা সা’ গম অথবা এক সা’ খেজুর কিংবা এক সা’ যব আদায় কর।’ [সুনানুত দারাকুতনি, হাদিস: ২১৩৬]
ফিতরা প্রদানের জন্য যব, খেজুর, পনির ও কিসমিস প্রদানের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য যে কোনো একটির এক সা’ অর্থাৎ ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম পরিমাণ কিংবা তার বাজার মূল্যের সমপরিমাণ টাকা ফিতরা হিসাবে দিতে হবে।
আর গম এর ক্ষেত্রে আধা ‘সা’ অর্থাৎ প্রায় ১ কেজি ৭৫০ গ্রাম পরিমাণ গম কিংবা তার বাজার মূল্যের সমপরিমাণ টাকা ফিতরা হিসাবে দিতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো এক ‘সা’ পরিমাণ কত কেজি? এক ‘সা’ পরিমাণ হলো সর্বনিম্ন ২ কেজি ৪০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৩ কেজি ৩৩০ গ্রাম পর্যন্ত পরিমাণ কে বুঝায়। যদিও এই বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। মতভেদের বিভ্রান্তি এড়াতে এবং দরিদ্রদের উপকার করার জন্য, আমরা এখানে ১ ‘সা’ = ৩ কেজি ৩৩০ গ্রাম ধরেছি।
আপনার সুবিধার জন্য উক্ত খাবারগুলোর তুলনামূলক বাজারমূল্য উল্লেখ করা হলো।
(ক) এক কেজি যবের মূল্য ৯০/- টাকা। এ বিবেচনায় একজনের সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯৭/- (দুইশত সাতানব্বই টাকা মাত্র)।
(খ) মধ্যম ধরনের খেজুরের মূল্য প্রতি কেজি ৫০০/- টাকা। এক্ষেত্রে একজনের সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬৫০.০০ (এক হাজার ছয়শত টাকা মাত্র)। তবে সবচেয়ে ভালো খেজুরের নাম হলো আজওয়া ও মরিয়ম খেজুর যার দাম কেজি প্রতি ৮০০.০০-১৫০০.০০ সেই হিসাবে একজনের সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ দাঁড়ায় ২,৬৪০.০০ থেকে ৪,৯৫০.০০ টাকা।
(গ) কিসমিস প্রতি কেজি ৪৫০.০০ টাকা। এক্ষেত্রে একজনের সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ দাঁড়ায় ১,৪৮৫.০০ (এক হাজার চারশত পচাশি) টাকা।
ঘ) পনির প্রতি কেজি ৬৬৫.০০ টাকা। এক্ষেত্রে একজনের সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ দাঁড়ায় ২,২০০.০০ (দুই হাজার দুইশত) টাকা।
ঙ) গম প্রতি কেজি ৪৫.০০ টাকা। এক্ষেত্রে একজনের সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৮.০০ (আটাত্তর) টাকা।
হাদিস শরীফে এই ৫টি দ্রব্যের যে কোন একটি দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায়ের সুযোগ দেওয়া রয়েছে যাতে মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য ও সুবিধা অনুযায়ী আদায় করতে পারে।
ফিতরা দেয়ার নিয়ম। ফিতরা দেওয়ার নিয়ম
হাদিসের বর্ণনায় বলা হয়েছে, ২ পরিমাপে ৫টি জিনিস দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করা যায়। আর সেগুলো হলো গম, যব, কিসমিস, খেজুর, পনির। এর মধ্যে গমের পরিমাপ অর্ধ সা এবং বাকি সবগুলোর পরিমাণ এক সা। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন একটি দিয়ে এই ফিতরা দিতে পারেন। বর্তমান বাজার মূল্য হিসাবে তা উপস্থাপন করা হলোঃ
(ক) যব: যার পরিমাপ হবে এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান গড় বাজার মূল্য- ২৯৭.০০ টাকা।
(খ) খেজুর: খেজুর এর পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান গড় বাজার মূল্য- ১ হাজার ৬৫০ টাকা।
(গ) কিসমিস: যার পরিমাপ এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান গড় বাজার মূল্য- ১ হাজার ৫০০ টাকা।
(ঘ) পনির : পনিরের পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান গড় বাজার মূল্য- ২ হাজার ২০০ টাকা।
(ঙ) গম/আটা: গম বা আটার পরিমাপ হবে অর্ধ সা। যা ৮০ তোলা সেরের মাপে ১ সের সাড়ে বারো ছটাক। আর কেজির হিসাবে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম। তবে ন্যূনতম পূর্ণ ২ সের/কেজির মুল্য আদায় করা উত্তম ৷ যার বর্তমান গড় বাজার মূল্য ৮০ টাকা।
এখানে উল্লেখ্য যে, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির-এর ক্ষেত্রে ৪ কেজির মূল্য পরিশোধ করাই উত্তম।
ফিতরা কত টাকা ২০২৫
২০২৫ সালে বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২,৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফিতরার এই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে, যা নিম্নরূপ:
খাদ্যদ্রব্য | পরিমাণ | বাজারমূল্য (২০২৫) |
---|---|---|
গম বা আটা | ১.৬৫ কেজি | ১১০ টাকা |
যব | ৩.৩০ কেজি | ৫৩০ টাকা |
খেজুর | ৩.৩০ কেজি | ২,৩১০ টাকা |
কিশমিশ | ৩.৩০ কেজি | ১,৯৮০ টাকা |
পনির | ৩.৩০ কেজি | ২,৮০৫ টাকা |
প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য ফিতরা আদায় করা ফরজ, যা ঈদুল ফিতরের নামাজের পূর্বে প্রদান করা উত্তম। ফিতরা আদায়ের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের ঈদের আনন্দে শরিক করা হয় এবং রোজার পবিত্রতা রক্ষা করা হয়।
ফিতরা দেওয়ার সময় সামর্থ্য অনুযায়ী পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। উচ্চমূল্যের খাদ্যদ্রব্যের উপর ভিত্তি করে ফিতরা প্রদান করা অধিক সওয়াবের কারণ হতে পারে। তবে সর্বনিম্ন ১১০ টাকা দেওয়াও গ্রহণযোগ্য।
ফিতরা প্রদান আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে, দরিদ্রদের সাহায্য করে এবং সমাজে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তাই যথাসময়ে ফিতরা দিয়ে ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করা আমাদের কর্তব্য।
ফিতরা কত টাকা ২০২৫ ভারত
ভারতে ফিতরার নির্দিষ্ট পরিমাণ স্থানীয় ইসলামী কর্তৃপক্ষ বা মসজিদ কমিটি দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা সাধারণত স্থানীয় খাদ্য সামগ্রীর মূল্য এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের উপর ভিত্তি করে। তবে ফেসবুকের একটি পোস্ট অনুযায়ী ভারতে ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭০ রুপি জন প্রতি । এটি লক্ষণীয় যে এই তথ্যটি কোনও সরকারী উৎস থেকে নয়, তাই সঠিকতার জন্য, স্থানীয় মসজিদ বা ইসলামিক কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের গরিব-দুঃখী মানুষকে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে রোজার পবিত্রতা রক্ষা করা হয়। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব, যা ঈদুল ফিতরের নামাযের আগে করা হয়। ফিতরা দেওয়ার সময় সামর্থ্য অনুযায়ী পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। উচ্চমূল্যের খাদ্যদ্রব্যের ভিত্তিতে ফিতরা প্রদান করা অধিক সওয়াবের কারণ হতে পারে।
ফিতরা প্রদান আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে, দরিদ্রদের সাহায্য করে এবং সমাজে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তাই যথাসময়ে ফিতরা আদায় করে সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা আমাদের কর্তব্য।
ফিতরা কত টাকা ২০২৫ সম্পর্কে FAQ
প্রশ্ন-১ঃ ফিতরা কি?
উওরঃ ফিতরা বা ফিতর আরবী শব্দ। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদার ব্যক্তি কর্তৃক বিতরণ করা দানকে ফিতর বা সদকাতুল ফিতর বলা হয়।
প্রশ্ন-২ঃ ফিতরা অর্থ কি?
উওরঃ ফিতরা বা ফিতর আরবী শব্দ। ইসলামী পরিভাষায় যাকে যাকাতুল ফিতর বা সদকাতুল ফিতর নামে অভিহিত করা হয়েছে।
প্রশ্ন-৩ঃ ফিতরা কখন দিতে হয়?
উওরঃ ফিতরা দেওয়ার উপযুক্ত সময় হলো ঈদ-উল-ফিতর এর দিন সুুুবহে সাদিক এর পর থেকে ঈদের নামাজের পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত । তবে এর আগে ফিতরা আদায়ে কোনো বিধি নিশেষ নেই। এছাড়া কেউ যদি কোনো কারণে ঈদের নামাজের আগে ফিতরা আদায় করতে না পারে তবে ঈদের পরেও তা আদায় করতে পারবে। তবে আমাদের প্রিয় নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বেই ফিতরা আদায় করতেন, যাতে গরিব-অসহায় মানুষ এই টাকায় কেনাকাটা করে ধনীদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারে।
প্রশ্ন-৪ঃ ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে?
উওরঃ যাকাত শুধুমাত্র ফকির, গরীব, যাকাত আদায়কারী এবং যাদেরকে চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরদের মুক্তির জন্য। ইহাই হলো আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা তওবা: আয়াত ৬০)
ফিতরা কত টাকা ২০২৫ সম্পর্কে শেষকথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনায় আমরা ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশাকরি আপনারা ফিতরা নিয়ে ভালো ধারনা পেয়েছেন। মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের রোজা রাখার এবং সকল সম্পদশালী ব্যক্তিকে যার যার অবস্থান অনুযায়ী ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর আদায় করার তাওফিক দান করুন। ফিতরা আদায়ের মাধ্যমে রোজার ভুল-ত্রুটিগুলো থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।