ডেঙ্গু জ্বরকে জ্বরের লক্ষণ ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
> সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর
> রক্তপাত সহ ডেঙ্গু জ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষ্মণ
> হঠাৎ উচ্চ জ্বর দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়।
> তীব্র মাথাব্যথা।
> চোখের পিছনে ব্যথা।
>জ্বরের পাশাপাশি সারা শরীরে লাল ফুসকুড়ি।
> সারা শরীরে তীব্র ব্যথা সহ পিঠে ব্যথা।
> বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
> ত্বকে ফুসকুড়ি বা লাল ফুসকুড়ি দেখা।
ডেঙ্গু জ্বরের সাথে রক্তপাতের ক্ষেত্রে লক্ষ্মণঃ
> ২ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উচ্চ জ্বর সহ নাক, মুখ থেকে রক্তপাত বা বমি হওয়া।
> জ্বরের সাথে সাথে বুকে বা পেটে তরল জমে।
> যদি এই উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি দেখা যায়, অবিলম্বে চিকিৎসার পরামর্শ নিন। অন্য দিকে।
জ্বরের প্রথম তিন দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অন্যদিকে, বার বার পানি দিয়ে পুরো শরীরে স্পঞ্জ করুন। এতে জ্বরের মাত্রা কমে যাবে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং বিশ্রাম নিন। এরপরও যদি জ্বর না কমে বা কিছুক্ষণ পর পর বাড়তে থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জানা জরুরি। চলুন দেখে নেওয়া যাক ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় কি সেই সম্পর্কে-
> বাড়ির চারপাশ যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।
> ঘরের ভিতরে ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ক্যানের খোসা, টায়ার বা পলিথিন থাকলে সেগুলো দ্রুত পরিষ্কার করুন এবং ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
> মশা মারার জন্য সপ্তাহে অন্তত তিনবার স্প্রে বা ফগ ব্যবহার করুন।
> বাইরে যাওয়ার সময় মশা তাড়ানোর ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
> সন্ধ্যার পরে, বাড়ির ছোট এবং বয়স্ক সদস্যরা মশারি ব্যবহার করতে পারেন।
> বৃষ্টির পানি যেখানে জমে থাকে তা পরিষ্কার করুন কারণ এডিস মশা ডিম পাড়ে।
> অধিক মশার উপদ্রব এড়াতে আপনি মশারির পাশাপাশি ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
> যেহেতু এডিস মশা দিনের বেলায় কামড়ায়, তাই দিনের বেলা ঘুমানোর সময় মশারি দিয়ে ঘুমানো জরুরি।
আপনার চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এবং ছোটখাটো বিষয়ে সচেতন হলে ডেঙ্গু জ্বর থেকে রেহাই পাওয়া যাবে এবং আপনার আশেপাশের মানুষও এই সময়ে রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে সুস্থ থাকবে।
আপনার আরও ভালো লাগতে পারেঃ
১। ডেংগু জ্বর হলে কি খেতে হবে।
২। ডেঙ্গু জ্বর কি? ডেঙ্গুর লক্ষণ এবং ডেঙ্গু হলে করণীয়
৩। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে
আরও পড়ুনঃ গুগল নিউজে