কম্পিউটার কাকে বলে । কম্পিউটার কত প্রকার ও কাজ কি?

মাউস কি? মাউস কি ধরনের ডিভাইস

কম্পিউটার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়টি সকলের জেনে রাখা জরুরী । কারণ আধুনিক যুগ তথ্য প্রযুক্তির ‍যুগ।  এই যুগে আমাদের নিত্যদিনের কাজের সঙ্গী হলো কম্পিউটার। ই-মেইল পাঠানো থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, গেমস খেলা, মুভি দেখাসহ পড়ালেখা শেখা কিংবা অফিসের এমন কোন কাজ নাই যা করা সম্ভব না এই যন্ত্রের সাহায্যে। কম্পিউটার আধুনিক যুগে মানব জাতির জন্য আর্শিবাদ স্বরুপ। মানব সভ্যতার বিকাশ  ও বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে কম্পিউটারের ব্যাপক ভুমিকা রয়েছে । বর্তমান যুগ ইনফরমেশন ও টেকনোলোজি নির্ভর যুগ। যার ফলে সারা বিশ্বজুড়ে কম্পিউটার ব্যবহারের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

আপনি যদি প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে একজন আধুনিক মনস্ক মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য পারফেক্ট। আজকের পোষ্টে আমরা জানব কম্পিউটার কি বা কম্পিউটার কাকে বলে, কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি, কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি, কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটার কত সালে আবিষ্কার হয়, কম্পিউটার পরিচিতি, কম্পিউটার বেসিক নলেজ, কম্পিউটার ভাইরাস কি এবং সর্বশেষ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি ইত্যাদি কম্পিউটার ‍সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি। তো চলুন শুরু করা যাক-                    

কম্পিউটাক-কাকে-বলে-কত-প্রকার-কি-কি

কম্পিউটার কি বা কম্পিউটার কাকে বলে । what is computer in bangla

আলোচ্য বিষয়াবলী

কম্পিউটার শব্দটির এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Computare’ (কম্পিউটেয়ার) থেকে। আবার কিছু কিছু বিজ্ঞানীদের মতে, কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Compute’ (কম্পিউট) থেকে এসেছে। যাই হোক কম্পিউটার শব্দটি ল্যাটিন বা গ্রিক যে শব্দ থেকেই উৎপন্ন হোক না কেন বাংলা ভাষায় এই শব্দ দুটির অর্থ গণনা করা বা হিসাব করা। আর কম্পিউটার শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো গণনাকারী বা হিসাবকারী যন্ত্র।

সহজভাষায়, কম্পিউটার হলো একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা খুব দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বিভিন্ন  ধরনের গাণিতিক ও যৌগিক সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। প্রথম দিকে প্রাচীন গণনাকারী যন্ত্র হিসেবে আবিষ্কার করা হলেও, বর্তমানের আধুনিক কম্পিউটার এর সাহায্যে গণনা ছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়। যেমন: নথি তৈরি, ইমেইল পাঠানো, ওয়েব ব্রাউজ করা, স্প্রেডশিট তৈরি করা, উপস্থাপনা তৈরি করা, গেম খেলা, সিনেমা দেখা, সঙ্গীত শোনা এবং কম্পিউটার দিয়ে আরও অনেক কিছু  করা সম্ভব।

কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি

কম্পিউটার শব্দটির এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Computare’ (কম্পিউটেয়ার) থেকে। আবার কিছু কিছু বিজ্ঞানীর মতে, কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Compute’ (কম্পিউট) থেকে এসেছে। যাই হোক কম্পিউটার শব্দটি ল্যাটিন বা গ্রিক যে শব্দ থেকেই আসুক না কেন বাংলায় এই শব্দ দুটির অর্থ গণনা করা বা হিসাব করা। তাই কম্পিউটার শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো গণনাকারী বা হিসাবকারী যন্ত্র।

কম্পিউটার আবিষ্কার করেন কে?

কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস একটু জটিল , কারণ এটি পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ তাদের আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বর্তমানে বিকশিত কম্পিউটার তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। নিন্মে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কম্পিউটার আবিষ্কারে তাদের অবদান তুলে ধরা হলো:

১) চার্লস ব্যাবেজ (১৭৯১-১৮৭১): চার্লস ব্যাবেজ কে “কম্পিউটারের জনক” বলা হয়। কারণ তিনি ১৯ শতকের গোড়ার দিকে “অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন” নামে একটি যান্ত্রিক কম্পিউটার এর নকশা তৈরি করেছিলেন। যদিও তিনি তার জীবন দর্শায় কাজটি সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি, তবে তার দেওয়া ধারণাগুলির উপর ভিত্তি করেই আধুনিক কম্পিউটারের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে আধুনিক কম্পিউটার আবিস্কারে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

২) জন আটানাসফ (১৯০৩-১৯৯৫) এবং ক্লিফোর্ড বেরি (১৯১৩-১৯৯৪): ১৯৩০ দশকে এই ব্যক্তিদ্বয়  “ABC” নামক একটি ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন। এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রনিক কম্পিউটার ছিল, যদিও এটি বাইনারি সংখ্যা ব্যবহার করেনি।

৩) জন মওচলি (১৯০৭-১৯৮৭) এবং জে. প্রেসপার একার্ট (১৯০৫-১৯৯৫): ১৯৪৩ সালে জন মওচলি এবং জে. প্রেসপার একার্ট মিলে তারা “ENIAC” নামে প্রথম বহুমুখী ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন। এই কম্পিউটার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জন্য গোলাবারুদের গতিপথ হিসাব করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

৪) টুরিং মেশিন: ১৯৩৬-এ, অ্যালান টুরিং “টুরিং মেশিন” ধারণার প্রবর্তন করেছিলেন, যা একটি তাত্ত্বিক কম্পিউটার মডেল যা আধুনিক কম্পিউটারের নকশার ভিত্তি স্থাপন করেছিল। 

৫) ভন নিউম্যান (১৯০৪-১৯৫৭): ভন নিউম্যান “ভন নিউম্যান আর্কিটেকচার” নকশা করেছিলেন, যা আধুনিক কম্পিউটারের নকশার জন্য একটি মানদণ্ড হিসাবে ধরা হয়।

উল্লেখ্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও, আরও অনেক বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী কম্পিউটারের বর্তমান বিকাশে অবদান রেখেছেন। কম্পিউটার আবিষ্কার একটি দীর্ঘ ও ক্রমবর্ধমান প্রক্রিয়া ছিল এবং অনেক ব্যক্তির সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।

চার্লস ব্যাবেজ কে কেন কম্পিউটারের জনক বলা হয়

খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ খ্রিষ্টাব্দে যন্ত্রের সাহায্যে গণনা শুরু হলেও, কম্পিউটার তৈরির সর্বপ্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। তিনি ১৮৮২ সালে প্রথম মেকানিক্যাল কম্পিউটার (Mechanical Computer) তৈরি করেছিলেন। তার তৈরি কম্পিউটারের ধারনা ও নকশার ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে আধুনিক কম্পিউটার (Computer) তৈরি করা হয়। এজন্য চার্লস ব্যাবেজ কে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

পৃথিবীর-সর্বপ্রথম-সম্পূর্ণ-ইলেক্ট্রনিক-কম্পিউটার
পৃথিবীর-সর্বপ্রথম-সম্পূর্ণ-ইলেক্ট্রনিক-কম্পিউটার

কম্পিউটারের ইতিহাস ও প্রজন্ম

কম্পিউটারের ইতিহাস দীর্ঘ ও জটিল, যা যন্ত্রীয় গণনার যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক ইলেকট্রনিক যুগ পর্যন্ত প্রসারিত। প্রযুক্তিগত উন্নতির সংগে সংগে, কম্পিউটারগুলি আকারে ছোট, ক্ষমতায় শক্তিশালী এবং দামে সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে, যার ফলে ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে।

কম্পিউটারের প্রজন্ম প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের প্রধান ধাপগুলিকে চিহ্নিত করে যা সময়ের সাথে সাথে সংঘটিত হয়েছে। প্রতিটি প্রজন্ম নতুন বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতা প্রদান করেছে, যার ফলে কম্পিউটারগুলি আরও বহুমুখী এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব হয়ে উঠেছে।

কম্পিউটারের প্রধান প্রজন্মগুলি হল:

প্রথম প্রজন্ম (১৯৪০-১৯৫৬): ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করে তৈরি, বিশাল আকারের এবং ব্যয়বহুল, কম গতির, স্বল্প সংখ্যায় তৈরি। উদাহরণ: ENIAC, UNIVAC I

দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৬-১৯৬৩): ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে তৈরি, ছোট আকারের এবং কম ব্যয়বহুল, দ্রুত গতির, ব্যাপকভাবে উৎপাদিত। উদাহরণ: IBM 1401, CDC 1604

তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৪-১৯৭১): ইন্টেগ্রেটেড সার্কিট (ICs) ব্যবহার করে তৈরি, আরও ছোট আকারের, আরও কম ব্যয়বহুল, আরও দ্রুত গতির, ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত। উদাহরণ: IBM 360, UNIVAC 1108

চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১-বর্তমান): মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করে তৈরি, খুব ছোট আকারের, খুব কম ব্যয়বহুল, অত্যন্ত দ্রুত গতির, সর্বব্যাপী। উদাহরণ: IBM PC, Apple II, Macintosh

পঞ্চম প্রজন্ম (ভবিষ্যৎ): এখনও উন্নয়নাধীন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ন্যানোটেকনোলজি এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর মতো উদীয়মান প্রযুক্তিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করবে।

প্রতিটি প্রজন্মের কম্পিউটারের নিজস্ব অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতা রয়েছে। 

কম্পিউটারের মূল অংশ কয়টি ও কি কি

কম্পিউটারের মূল অংশ তিনটি। সেগুলো হলো:

  • ইনপুট ডিভাইস: এটি ব্যবহারকারী দ্বারা তথ্য ও নির্দেশাবলী কম্পিউটারে প্রবেশ করানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: কিবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, টাচস্ক্রিন, মাইক্রোফোন, ক্যামেরা ইত্যাদি।
  • প্রসেসিং ইউনিট (CPU): সিপিইউকে কম্পিউটারের “মস্তিষ্ক” বলা হয়। এটি ইনপুট ডিভাইস থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও নির্দেশাবলী প্রক্রিয়া করে আউটপুট ডিভাইসে প্রদর্শনের জন্য ফলাফল প্রস্তুত করে।
  • আউটপুট ডিভাইস: এটি কম্পিউটার থেকে প্রক্রিয়াজাত তথ্য ফলাফল আকারে  প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিছু উদাহরণ হলো: মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, প্রজেক্টর ইত্যাদি।

এছাড়া কম্পিউটারের এই তিনটি মূল অংশ ছাড়াও, কম্পিউটারে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যেমন:

  • মেমোরি: এটি তথ্য ও নির্দেশাবলী সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করে।
  • স্টোরেজ: এটি দীর্ঘমেয়াদী তথ্য সংরক্ষণ করে।
  • মাদারবোর্ড: এটি কম্পিউটারের সমস্ত উপাদানকে সংযুক্ত করে।
  • পাওয়ার সাপ্লাই: এটি কম্পিউটারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদান একসাথে কাজ করে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ এবং প্রদর্শন করে, যা আমাদের কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করতে দেয়।

কম্পিউটারের কাজ কি

বর্তমানে কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরণের কাজ করা যায়। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কিছু কাজের বিবরণ তুলে ধরা হলো: 

তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করণ কাজে:

  • সংখ্যা গণনা করা।
  • টেক্সট প্রক্রিয়াকরণ করা।
  • ছবি এবং ভিডিও সম্পাদনা করা।
  • ডেটাবেস তৈরি এবং পরিচালনা করা।
  • ইন্টারনেট থেকে তথ্য অ্যাক্সেস এবং প্রদর্শন করা।

যোগাযোগ করণ কাজে:

  • ইমেল পাঠানো এবং গ্রহণ করা।
  • ইন্টারনেটে ব্রাউজ করা।
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা।
  • ভিডিও কনফারেন্সিং করা।
  • অনলাইন গেম খেলা।

সৃজনশীলতার কাজে:

  • লেখা।
  • সঙ্গীত তৈরি করা।
  • চিত্রকল্প এবং নকশা তৈরি করা।
  • ভিডিও তৈরি করা।
  • প্রোগ্রামিং করা।

শিক্ষার কাজে:

  • অনলাইন কোর্স করা।
  • ই-বই এবং নিবন্ধ পড়া।
  • শিক্ষামূলক ভিডিও দেখা।
  • ইন্টারেক্টিভ লার্নিং অ্যাপ ব্যবহার করা।
  • ভাষা শেখা।

বিনোদনের কাজে:

  • মুভি এবং টিভি শো দেখা।
  • গেম খেলা।
  • সঙ্গীত শোনা।
  • ইবুক পড়া।

চিকিৎসার কাজে:

  • এক্স-রে, MRI, CT স্ক্যান এবং আল্ট্রাসাউন্ডের মতো চিত্রনির্ণয় পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করতে ডাক্তারদের সহায়তা করা।
  • AI অ্যালগরিদমগুলি চিত্র থেকে টিউমার সনাক্তকরণ।
  • ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড যা রোগীর চিকিৎসা ইতিহাস সংরক্ষণ করে এবং ডাক্তারদের তথ্য দ্রুত অ্যাক্সেস করতে এবং আরও ভাল সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
  • রোবটিক সার্জারি ডাক্তারদের আরও নির্ভুলতা এবং নিয়ন্ত্রণের সাথে জটিল অস্ত্রোপচার সম্পাদন করতে সহায়তা করে।
  • টেলিমেডিসিন রোগীদের দূর থেকে ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করতে দেয়, বিশেষ করে যারা গ্রামীণ এলাকায় বাস করে বা যাদের যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে।

এছাড়াও, কম্পিউটার ব্যবহার করে আরও অনেক কাজ করা সম্ভব। প্রযুক্তি অগ্রগতির সাথে সাথে, কম্পিউটারগুলি আরও শক্তিশালী এবং বহুমুখী হয়ে উঠছে, যার ফলে আমাদের জীবনকে আরও সহজ এবং আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে।

কম্পিউটার কি কি কাজে ব্যবহার হয়

কম্পিউটার কি কি কাজে ব্যবহার হয় তা বলা শুরু করলে তা সহজে শেষ হবে না। যদিও এই যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু হয় মূলত হিসাব বা গণনা যন্ত্র হিসেবে বা জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করার জন্য কিন্তু বর্তমানে এমন কোনো কাজ নেই যা কম্পিউটার ব্যবহার করে করা যায় না। তাই চলুন এবার জেনে নেই  কম্পিউটার কি কি কাজে ব্যবহার হয় ‍সংক্ষিপ্ত আকারে- 

শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

বিশ্বজুড়ে করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা সকলে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কম্পিউটার  ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশন তৈরি ইত্যাদি সবকিছু করা হয় কম্পিউটার ব্যবহার করে। বর্তমানে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন করা হয়, ইন্টারনেটে সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল দেখা ছাড়াও শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কম্পিউটার অনবদ্য অবদার রেখে চলেছে। বর্তমানে কম্পিউটার ছাড়া আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা সঠিক ভাবে পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব।

চিকিৎসাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

কম্পিউটার আবিস্কারের ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এমন কোন কাজ নাই যা কম্পিউটার দ্বারা করা সম্ভব নয়। কম্পিউটারাইজড ডায়াগনোস্টিক সিস্টেমে রোগ নির্ণয়, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফ, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, অপারেশন ছাড়া পিত্তথলির পাথর অপসারণ, ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি ‍সকল উন্নত চিকিৎসা কম্পিউটার ছাড়া একেবারে অসম্ভব। 

চিকিৎসাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

গবেষণায় কম্পিউটারের ব্যবহার

আধুনিক যুগে বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ যে কোন গবেষনায় কম্পিউটার একটি অপরিহার্য মাধ্যম। কম্পিউটার ব্যবহার করে গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ, তথ্য সংরক্ষণ এবং জটিল গণনাকে অতি দ্রুত করা যায় খুব সহজেই। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও তথ্য সঞ্চয় করে রাখতে কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারে ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। ভিডিও গেমস খেলা, মুভি দেখা, নানা রকম অ্যানিমেশন ও স্পেশাল এফেক্ট তৈরির কাজ এটি ছাড়া করা যায় না।

কম্পিউটার  কত প্রকার ও কি কি

কম্পিউটার-কত-প্রকার-ও-কি-কি

গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, কম্পিউটার তিন প্রকার। সেগুলো হলো:

  • এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer).
  • ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer).
  • হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer).

এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer)

অ্যানালগ কম্পিউটার হলো এমন কম্পিউটার যা কোনো কম্পিউটিং সমস্যাকে ভৌত বৈশিষ্ট্য যেমন বৈদ্যুতিক, যান্ত্রিক, বা  জলবাহী -এর ভৌত এবং চলমান পরিমাপে মডেল হিসেবে রূপ দেয়া হয়। এক কথায়, যে কম্পিউটার পরিমাপ ও পরিমানের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়, তাকে বাংলায় এনালগ কম্পিউটার বলে। 

এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer) বৈশিষ্ট্য

এনালগ কম্পিউটার হল এক ধরণের কম্পিউটার যা ধারাবাহিক সংকেত ব্যবহার করে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে। এগুলি সাধারণত বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় যেখানে দ্রুত গণনা এবং উচ্চ নির্ভুলতা প্রয়োজন।

এনালগ কম্পিউটারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল:
    • ধারাবাহিক সংকেত ব্যবহার: এনালগ কম্পিউটার ভোল্টেজ, বিদ্যুৎ প্রবাহ, বা অন্যান্য ধরণের ধারাবাহিক সংকেতের মাধ্যমে তথ্য বর্ণনা করে।
    • যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক উপাদান: এনালগ কম্পিউটার গিয়ার, অপ-অ্যাম্প, ট্রানজিস্টর এবং অন্যান্য যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক উপাদান ব্যবহার করে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে।
    • দ্রুত গণনা: এনালগ কম্পিউটার সাধারণত ডিজিটাল কম্পিউটারের চেয়ে দ্রুত গণনা করতে পারে, বিশেষ করে যখন জটিল গাণিতিক সমীকরণ সমাধান করার কথা আসে।
    • উচ্চ নির্ভুলতা: এনালগ কম্পিউটার উচ্চ নির্ভুলতার সাথে গণনা করতে পারে, যা এগুলিকে বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আদর্শ করে তোলে যেখানে নির্ভুলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    • সীমিত প্রোগ্রামেবিলিটি: এনালগ কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটারের মতো সহজে প্রোগ্রাম করা যায় না। নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য সাধারণত হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়।
    • নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহার: এনালগ কম্পিউটার সাধারণত ডিজিটাল কম্পিউটারের চেয়ে কম বহুমুখী। এগুলি সাধারণত বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় যেখানে দ্রুত গণনা এবং উচ্চ নির্ভুলতা বেশি দরকার।

ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer)

সহজ ভাষায় ডিজিটাল কম্পিউটার বলতে আমরা বুঝি, যে কম্পিউটার বাইনারি সিস্টেম (0 ও 1) ব্যবহার করে গনণার কাজ করে তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে। ডিজিটাল কম্পিউটার দিয়ে দ্রুত গতিতে গণনা এবং যৌক্তিক ক্রিয়াকলাপের কাজ করা যায়। উচ্চ গতির ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করার জন্য এই ধরণের কম্পিউটারগুলো মেমোরি সম্পন্ন ডিস্ক, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস দিয়ে তৈরি করা হয়। ডেক্সটপ, মোবাইল, ল্যাপটপ এবং স্মার্ট ফোন এই সবকিছুই ডিজিটাল কম্পিউটার দ্বারা তৈরি।

ডিজিটাল কম্পিউটার এর বৈশিষ্ট্য

ডিজিটাল কম্পিউটার এর বৈশিষ্ট্যগুলো নিন্মে তুলে ধরা হলো:

  • বাইনারি পদ্ধতিতে ০ ও ১ ব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন করে।
  • এই কম্পিউটার সব ধরনের ডাটা বাইনারি পদ্ধতি ০ ও ১ এর মাধ্যমে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে।
  • এই কম্পিউটারে তিনটি অংশ থাকে: ইনপুট, প্রসেসিং ও আউটপুট।
  • সংখ্যা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কাজ করে।
  • কাজের সুক্ষ্ণতা অত্যন্ত বেশি (১০০ %)।
  • কাজে ফলাফল সরাসরি মনিটরে প্রদর্শিত হয় বা অন্য কোনো আউটপুট ডিভাইস এর মাধ্যমেও দেখা যায়।

এনালগ কম্পিউটার ও ডিজিটাল কম্পিউটার এর মধ্যে পার্থক্য

এনালগ কম্পিউটার  ডিজিটাল কম্পিউটার 
সময়ের সাথে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ডাটা বা অ্যানালগ বৈদ্যুতিক সংকেতের ওপর নির্ভর করে নির্মিত হয়। বাইনারি পদ্ধতিতে, অর্থাৎ ০ এবং ১ এর উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে।
অ্যানালগ সংকেত ব্যবহার করা হয়। ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবহৃত হয়।
পদার্থবিজ্ঞানের নীতি অনুসরণ করে কাজ করে। গণিতের নিয়মে কাজ করে ।
ইহা একটি পরিমাপক ব্যবস্থা। এটি মূলত একটি সংখ্যাগত ব্যবস্থা।
সাধারণত একই ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। অন্য ধরনের কাজে ব্যবহার করা যায় না।  বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়।                                                     
তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হিসাবের পর প্রাপ্ত ফলাফল সাধারণত মিটার, ওসিলোসকোপ ইত্যাদিতে দেখা যায়। তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হিসাবের পর প্রাপ্ত ফলাফল সাধারণত মনিটরে দেখা যায়।
ফলাফলের সূক্ষ্মতা কম। ফলাফলের সূক্ষ্মতা অনেক বেশি।

হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer)

উপরের আলোচনা থেকে আমরা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। এখন আমরা জানব হাইব্রিড কম্পিউটার কাকে বলে সেই সম্পর্কে। হাইব্রিড কম্পিউটার সেই সব কম্পিউটারকে বলা হয় “যে কম্পিউটারগুলো এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলিকে একত্রিত করে গঠন করা হয়, তাকেই হাইব্রিড কম্পিউটার বলে”। সাধারণত এই কম্পিউটারগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। হাইব্রিড কম্পিউটারে অ্যানালগ ও ডিজিটাল উভয় কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি একদিকে যেমন অ্যানালগেরর মতো দ্রুত, আবার অন্যদিকে ডিজিটালের মতো নির্ভুলতার সাথে কাজ করে । আরো সহজ ভাবে বললে, হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এনালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের একটি আংশিক সংমিশ্রণ ‍সম্বলিত কম্পিউটার।

ডিজিটাল কম্পিউটার কয় প্রকার ও কি কি

আকার-আয়তন ও ব্যহারের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটার ৪ প্রকার। যথা:-

১) সুপার কম্পিউটার (Super Computer)
২) মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)
৩) মিনি কম্পিউটার (Mini Computer)
৪) মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer)

সুপার কম্পিউটার (Super Computer)

সর্বাধিক শক্তিশালী এবং দ্রুততম কম্পিউটার হলো সুপার কম্পিউটার।  আকার এবং ক্ষমতার দিক থেকে সুপার কম্পিউটারটি পৃথিবীর সর্ববৃহত্তম কম্পিউটার। এই কম্পিউটারটিতে অনেকগুলি জটিল এবং সূক্ষ্ম কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়া করার সক্ষমতা নিয়ে এই কম্পিউটারটি ডিজাইন করা হয়েছে। একটি সুপার কম্পিউটার এক সেকেন্ডে ট্রিলিয়ন নির্দেশাবলী প্রক্রিয়া করতে পারে। কেননা এতে রয়েছে হাজার হাজার আন্তঃসংযুক্ত প্রসেসর। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, মহাকাশ এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, বৈজ্ঞানিক সিমুলেশন এবং পারমাণবিক শক্তি গবেষণায় ব্যবহৃত হয় এই  কম্পিউটার।

Super Computer -এর বৈশিষ্ট্য

  • অধিক পরিমাণ গণনা করতে সক্ষম।
  • দ্রুততম সময়ে তথ্য প্রসেসিং করতে সক্ষম।
  • প্রসেসিং স্পিড 100 Million instructions per second (MIPS) পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • 64 বিট বা তার থেকে বেশি মাইক্রোপ্রসেসর চিপ ব্যবহার করা হয়।
  • বিশাল সংখ্যার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট রয়েছে।
  • RAM টাইপ মেমরি ইউনিটের একটি বিশাল সংগ্রহ।
  • নোডের মধ্যে উচ্চ গতির আন্তঃসংযোগ।
  • উচ্চ ইনপুট/আউটপুট সিস্টেমের গতি।
  • কাস্টম সফ্টওয়্যার ব্যবহার।
  • কার্যকর তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা।
  • অল্প সময়ে প্রচুর পরিমাণ গণনা করতে পারে, কারণ এদের Data Storage Capacity সব থেকে বেশি।
  • অনেকগুলি প্রসেসর থাকে এর ফলে একসাথে অনেক কাজ (Multiple Tasks) করা যায়।

Super Computer -এর উদাহরণ

  • SUPER-SX11Titan
  • Tianhe-I
  • Tianhe-2
  • Jaguar
  • CRAY-1
  • CYBER-205
  • IBM Sequoia
  • IBM Roadrunner
  • NEBULAE
  • SUPER-SX11

মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)

সুপার কম্পিউটার থেকে তুলনামূলক কম শক্তিশালী হচ্ছে মেইনফ্রেম কম্পিউটার। কিন্তু সাধারণ কম্পিউটার থেকে মেইনফ্রেম কম্পিউটার আকারে বড় এবং অনেক শক্তিশালী । সাধারনতঃ এই কম্পিউটারগুলি বাণিজ্যিক কাজে বেশী ব্যবহার করা হয়। ব্যাংক, বীমা ও বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে তথ্য আদান-প্রদান, সংরক্ষণ এবং গবেষণা কাজে মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে ব্যবহৃত এই কম্পিউটারগুলো হলো IBM 370, IBM 9100 and IBM 4341 ইত্যাদি।

Mainframe Computer -এর বৈশিষ্ট্য

  • দ্রুত কাজ করতে সক্ষম।
  • দ্রুত কাজ করার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর ও সফটওয়্যার থাকে।
  • একসাথে অনেকগুলো নেটওয়ার্ক সংযোগ, মেমোরির সাপোর্ট ও ডিস্ক স্টোরেজ থাকে।
  • এতে ব্যবহার করা ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেড হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার কোনো ব্যর্থতা ছাড়াই, ২০ বছর ধরে চলতে পারে।
  • সিকিউরিটি ফিচার রয়েছে, যা একটি ব্যাংকের সিকিউরিটি ফিচারের সাথে ম্যাচ করে।
  • যে কোনো বড় প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রে বড় বড় ব্যবসায়ী লেনদেনের কাজে Mainframe Computer ব্যবহার করা।

Mainframe Computer -এর উদাহরণ

  • IBM-4300
  • CYBER-170
  • IBM-4342

Super Computer ও Mainframe Computer -এর মধ্যে পার্থক্য

Super Computer

Mainframe Computer

Super Computer দ্রুত এবং বৃহদাকারের গণিতিক গণনর জন্য ব্যবহার করা হয়। Mainframe Computer একটি সার্ভার হিসেবে কাজ করে এবং বিশাল ডাটাবেস সঞ্চয় করে।
Super Computer কয়েক সেকেন্ডে কয়েক বিলিয়ন ফ্লোটিং পয়েন্ট অপারেশন কার্যকর করতে পারে। Mainframe Computer একই সাথে কয়েক মিলিয়ন নির্দেশনার কাজ করতে পারে।
Super Computer বিশ্বের বৃহত্তম Computer. Mainframe Computer বড় Computer তবে Super Computer -এর চেয়ে কিছুটা ছোট।
Super Computer বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল। Mainframe Computer ব্যয়বহুল তবে Super Computer -এর চেয়ে কম।
আধুনিক Super Computer -এর মধ্যে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ডেরিভেটিভ ভেরিয়েন্ট রয়েছে। Mainframe Computer -এর একাধিক অপারেটিং সিস্টেম চালানোর ক্ষমতা রয়েছে।

মিনি কম্পিউটার (Mini Computer)

মাইক্রো কম্পিউটারের চেয়ে বড়ো এবং মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে ছোট কম্পিউটারগুলিকে মিনি কম্পিউটার (Mini Computer) বলা হয়। মাঝারি আকারের মাল্টিপ্রসেসিং কম্পিউটারগুলো দুটি বা ততোধিক প্রসেসর নিয়ে গঠিত, যা একইসাথে প্রায় ২০০ জন পর্যন্ত  ইউজ ব্যবহার করতে পারে। বিলিং, অ্যাকাউন্টিং এবং ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্টের মতো কাজের জন্য এই ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

Mini Computer -এর বৈশিষ্ট্য

  • আকারে ছোট এবং কাজের ক্ষমতাও কম।
  • কিছু সংখ্যক ডাম্ব টার্মিনাল যুক্ত থাকে।
  • এতে একাধিক ব্যবহারকারী একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
  • প্রকৃতপক্ষে এটি Mainframe Computer -এর ক্ষুদ্র সংস্করণ।
  • ব্যাংক, শিল্প প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বড় গার্মেন্টস কারখানা এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে ব্যবহার করা হয়।

Mini Computer -এর উদাহরণ

  • PDPII
  • IBM S/34
  • IBM S/36

মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer)

মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer) ব্যক্তিগত বা পারসোন্যাল কম্পিউটার হিসেবেও পরিচিত। ব্যক্তিগত ব্যবহার বা সাধারণ কাজে ব্যবহারের জন্য এই ধরনের Computer ডিজাইন করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ হলো Micro Computer -এর উদাহরণ। অ্যাসাইনমেন্ট কিংবা প্রেজেন্টেশন তৈরি করা থেকে শুরু করে, মুভি দেখা ও অফিসের কাজের জন্য সাধারণ এই কম্পিউটারগুলি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে সর্বাধিক ব্যবহৃত কম্পিউটার হলো  এই মাইক্রো কম্পিউটার।

Micro Computer -এর বৈশিষ্ট্য

  • ক্ষুদ্রাকৃতির মাইক্রো প্রসেসর চিপ দিয়ে তৈরি।
  • একটি প্রধান মাইক্রো প্রসেসর, প্রধান মেমোরি, সহায়ক মেমোরি, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস নিয়ে গঠিত হয়।
  • এতে একজন মানুষই একই সময়ে কাজ করতে পারে।
  • প্রকৃতপক্ষে এটি Mini Computer -এর ক্ষুদ্র সংস্করণ ।  
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, ব্যক্তিগত ব্যবহার, খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনের কাজে ব্যবহার করা হয়। 
  • বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের Micro Computer রয়েছে। যেমন: ডেস্কটপ, নোটবুক বা ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন ইত্যাদি।

Micro Computer -এর উদাহরণ

  • IBM PC,
  • APPLE POWER,
  • HP PC,
  • DELL PC

মাইক্রো কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি?

মাইক্রো-কম্পিউটার-কয়-প্রকার-ও-কি-কি

Micro Computer দুই প্রকার

১) ডেস্কটপ (Desktop)
২) ল্যাপটপ (Laptop)

ডেস্কটপ (Desktop)

ডেস্কটপ কম্পিউটার হলো এক ধরনের ব্যক্তিগত কম্পিউটার, যা দৈনন্দিন কাজে সাধারণত ডেস্ক বা টেবিলে রেখে কাজ করা যায়। শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই নয়, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহার করা হয়।

ল্যাপটপ (Laptop)

ল্যাপটপ হলো সহজে বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার, যা বইয়ের মতো ভাঁজ করে রাখা যায়। কর্মক্ষেত্রে, পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত বিনোদনসহ বিভিন্ন কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়।

ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের মধ্যে পার্থক্য

ল্যাপটপ

ডেস্কটপ

ল্যাপটপ যেকোন জায়গায় রেখে ব্যবহার করা যায়।                               ডেস্কটপ ডেস্ক বা টেবিলেরর উপর রেখে ব্যবহার করতে হয়ে।
ওজনে হালকা এবং সহজে বহন করা যায়।                                             ওজন তুলনামূলকভাবে বেশি বিধায় সহজে বহন করা যায় না।
তুলনামূলকভাবে বিদুৎ কম খরচ হয়। তুলনামূলকভাবে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
সরাসরি বিদুৎ এর সাথে যুক্ত করা ছাড়াও এর ব্যাটারির সাহায্যে কয়েক ঘন্টা চলে। বিদুৎ এর ব্যাকআপ হিসেবে কোন ব্যাটারি থাকে না।             
দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। দাম তুলনামূলক কম।
মাউসের পরিবর্তে টাচপ্যাড ব্যবহার করা যায়। মাউসের পরিবর্তে টাচপ্যাড ব্যবহার করা যায় না।
অনেক পার্টস আপগ্রেড করা যায় না। অনেক পার্টস আপগ্রেড করা যায়।
তুলনামূলকভাবে কম টিকে। টিকে বেশি দিন।
ডেস্কটপের চেয়ে কম গরম হয়ে থাকে। ল্যাপটপের চেয়ে বেশি গরম হয়।
নষ্ট হলে সহজে ঠিক করা যায় না। নষ্ট হলে সহজে ঠিক করা যায়।

 

আধুনিক কম্পিউটার বা (Modern Computers)

Smartphones
Wearables
Game Console
TVs
Smartphones

Smartphones

বর্তমান সময়ে আমরা যে সকল স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি সেগুলো দিয়েও কম্পিউটারের মতো কাজ করা যায়। মোবাইল ফোন দিয়ে Internet Browsing, Games, Documents, Calculation, media playing ইত্যাদি করা যায়। একটি স্মার্ট ফোন কম্পিউটারের মতোই ইউজার থেকে ইনপুট গ্রহন করে এবং তারপর সেই ইনপুট এর সাথে জড়িত ডাটা প্রসেস ও গণনা করে ইউসার কে আউটপুট হিসাবে ফলাফল প্রদান করে। তাই, স্মার্ট ফোন এবং ট্যাবগুলোকে গুলোকে একটি কম্পিউটার হিসেবে গন্য করা হয়।

Wearables

Wearables  হলো  small technological device যা শরীরের কোনো বিশেষ অঙ্গে পরা হয়। এই ধরণের ডিভাইজগুলো সাধারণত ডাটা সংগ্রহ করে সেগুলোকে স্টোর ও প্রসেস করে ইউসার কে ফলাফল হিসাবে আউটপুট প্রদান কর। Smartwatches, Fitness Trackers  ইত্যাদি এই ধরণের wearables computer হিসাবে ধরা হয়।

Game Console

Game Console গুলো এক ধরণের বিশেষ কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যেগুলোর প্রধান কাজ হলো TV তে video games খেলার সুবিধা দেয়া। যেমন, Xbox, Play Stations ইত্যাদি এই ধরণের কিছু জনপ্রিয় game console।

TVs

বর্তমান সময়ে ব্যবহ্রত স্মার্টটিভি গুলোকেও কম্পিউটারের মধ্যেই ধরা হয়। কারণ, বর্তমান সময়ে একটি স্মার্ট টিভির মাধ্যমে  অনেক ধরণের কাজ করা সম্ভব যেগুলো আগে সাধারণ একটি কম্পিউটার দ্বারা করা যেত। যেমন, ইন্টারনেট চালানো, এপ্লিকেশন এর ব্যবহার, গেম খেলা, ভিডিও স্ট্রিমিং ইত্যাদি।

তাই, একটি স্মার্ট টিভিগুলোকে আমরা general purpose computers হিসেবে গণ্য করতেই পারি।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি? 

দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যকার আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থাপনাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে। ইহা এমন একটি নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা যা তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য দুই বা ততোধিক কম্পিউটিং ডিভাইসকে সংযুক্ত করে। কম্পিউটিং ডিভাইসের মধ্যে একটি মোবাইল ফোন থেকে সার্ভার পর্যন্ত সবকিছু অন্তর্ভুক্ত থাকে। আর এর নেটওয়ার্কের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ইন্টারনেট।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে তৈরি হয়? 

দুই বা তারও বেশি কম্পিউটারের মধ্যকার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যে উপাদানগুলো প্রয়োজন হয়, তা হলো:

  • প্রেরক (Sender)
  • গ্রহীতা (Receiver)
  • বার্তা বা তথ্য (Message)
  • নিয়ম-নীতি (Protocol)
  • পরিবহনকারী মাধ্যম (Transportation Media)

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি? 

বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলিকে বিভিন্ন প্রকারে করা যেতে পারে, যেমন: ট্রান্সমিশন মাধ্যম, নেটওয়ার্কের আকার, ভৌগলিক অবস্থান ও সাংগঠনিক অভিপ্রায় ইত্যাদি। 

ভৌগলিক অবস্থানের ভিত্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি?

ভৌগলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে, নেটওয়ার্কগুলো হলো:

  • Nanoscale Network
  • PAN (Personal Area Network)
  • LAN (Local Area Network)
  • SAN (Storage Area Network)
  • CAN (Campus Area Network)
  • MAN (Metropolitan Area Network)
  • WAN (Wide Area Network)
  • HAN (Home Area Network)
  • Enterprise Private Network (EPN)
  • Virtual Private Network (VPN)
  • Cloud Network

ব্যবহারের ভিত্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি?

ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে, নেটওয়ার্কের প্রকারগুলো হলো:

  • Intranet
  • Internet
  • Extranet
  • Darknet

কম্পিউটার সম্পর্কিত কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: কম্পিউটার কি?

উত্তর: কম্পিউটার হলো একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা তথ্য প্রক্রিয়া, সংরক্ষণ এবং প্রদর্শন করতে পারে। এটি নির্দেশাবলীর একটি সেট অনুসরণ করে কাজ করে যা প্রোগ্রাম নামে পরিচিত।

প্রশ্ন: কম্পিউটারের জনক কে?

উত্তর: চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। তিনি ১৯ শতকের গোড়ার দিকে “অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন” নামক একটি যান্ত্রিক কম্পিউটারের নকশা তৈরি করেছিলেন। যদিও তিনি তার নকশাটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি, তবুও তিনি আধুনিক কম্পিউটারের ধারণার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।

প্রশ্ন: প্রথম কম্পিউটার কখন তৈরি করা হয়েছিল?

উত্তর: ১৯৪৩ সালে, “কোলোসাস” নামক প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছিল। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা জার্মান এনিগমা কোড ভাঙার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।

প্রশ্ন: কম্পিউটারের মূল অংশগুলি কি কি?

উত্তর: কম্পিউটারের তিনটি মূল অংশ রয়েছে:

  • ইনপুট ডিভাইস: তথ্য ও নির্দেশাবলী প্রবেশের জন্য।
  • প্রসেসিং ইউনিট (CPU): তথ্য প্রক্রিয়া করার জন্য।
  • আউটপুট ডিভাইস: প্রক্রিয়াজাত তথ্য প্রদর্শনের জন্য।

প্রশ্ন: কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে?

উত্তর: ব্যবহারকারী ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করে তথ্য ও নির্দেশাবলী কম্পিউটারে প্রবেশ করান। CPU এই তথ্য প্রক্রিয়া করে এবং ফলাফল আউটপুট ডিভাইসে প্রদর্শন করে।

প্রশ্ন: কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণ কি কি?

উত্তর: কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ডেস্কটপ কম্পিউটার: একটি টেবিলে রাখা হয় এবং আলাদা আলাদা ইনপুট, প্রসেসিং এবং আউটপুট ডিভাইস থাকে।
  • ল্যাপটপ কম্পিউটার: ছোট, বহনযোগ্য এবং সমস্ত ইনপুট, প্রসেসিং এবং আউটপুট ডিভাইস একটিই ইউনিটে থাকে।
  • ট্যাবলেট কম্পিউটার: স্পর্শকাতর স্ক্রিন ইনপুট এবং আউটপুটের জন্য ব্যবহার করে।
  • স্মার্টফোন: মোবাইল ফোন যা কম্পিউটারের মতো অনেক কাজ করতে পারে।

প্রশ্ন: কম্পিউটারের কি কি ব্যবহার রয়েছে?

উত্তর: কম্পিউটার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ডকুমেন্ট তৈরি এবং সম্পাদনা করা।
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করা।
  • গেম খেলা।
  • মাল্টিমিডিয়া উপভোগ করা।
  • ইমেল পাঠানো ও গ্রহণ করা।
  • সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা।
  • কোডিং এবং প্রোগ্রামিং করা, ইত্যাদি।

 

কম্পিউটার কি বা কাকে বলে । কম্পিউটার কত প্রকার ও কাজ কি – শেষ কথা

বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত  কম্পিউটার কি বা কম্পিউটার কাকে বলে, কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি, কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি, কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটার কত সালে আবিষ্কার হয়, কম্পিউটার পরিচিতি, কম্পিউটার বেসিক নলেজ, কম্পিউটার ভাইরাস কি এবং সর্বশেষ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি ইত্যাদি কম্পিউটার ‍সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি  ‍সম্পর্কে সকল  ধরনের তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি কম্পিউটার কি বা কম্পিউটার কাকে বলে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদি আমাদের আজকের পোষ্টে পেয়ে যাবেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের তথ্যমূলক ‍আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়ে থাকে নিয়মিত। আপনারা যারা এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান তারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন। আশাকরি বিভিন্ন ইনফরমেটিভ বা তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে পারবেন প্রতিনিয়ত। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

তথ্যসূত্র:

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন:

Leave a Comment