চলুন তাহলে আমরা প্রথমে জেনে আসি ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য। ভিসা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না যে আসলে ভিসা কিভাবে করতে হয়-ভিসা করতে কি কি লাগে- ভিসা করতে কত টাকা লাগে তবে, নিজ দেশের বাইরে যেতে হলে যে ভিসা লাগে সেই ধারনা নিশ্চয় আমাদের বেশির ভাগেরই আছে। হাতে গুনা কয়েকটা দেশ ছাড়া অন্যান্য যেকোন দেশে যেতে হলেই প্রথমেই আমাদের নিকট যা থাকতে হবে তা হল ভিসা নামক একটা অনুমতি পত্র।
তাই শুরুতেই আমরা আজকে আলোচনা করব ভিসা কি এই নিয়ে।
ভিসা কি?
ভিসা কিভাবে করতে হয়- ভিসা করতে কি কি লাগে- ভিসা করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়গুলো জানার আগে আমাদের শুরুতেই জানা প্রয়োজন ভিসা আসলে কি? ভিসা হচ্ছে একটি ইংরেজি শব্দ VISA যার বর্ধিত রূপ হল Visitors International Stay Admission অর্থাৎ যখন একজন ব্যাক্তি তার নিজ দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে গিয়ে থাকতে চায় তখন ওই দেশের সরকার থেকে একটা অনুমতি পত্র তাকে গ্রহন করতে হয় আর এর নামই হল ভিসা। এটি অন্য দেশে প্রবেশ করার জন্য একজন আবেদনকারীকে দেওয়া হয়ে থাকে। ভিসা ব্যাতিত একজন মানুষ কোনভাবেই অন্য আরেকটি দেশে প্রবেশ করতে পারে না। যদি কেউ ভিসা ছাড়া প্রবেশ করে তাহলে তাকে অবৈধ বলা হয়ে থাকে।
ধরুন আপনি আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে যেতে চান। যেকোন কারনেই যান না কেন হউক সেটা ঘুরে বেড়ানোর জন্য, কাজের জন্য কিংবা অতি প্রয়োজনে জরুরী ভিত্তিতে একজন ডাক্তারের নিকট যেতে চান তবুও আপনাকে ভিসা নামক অনুমতি পত্র ছাড়া কখনোই যেতে দেওয়া হবে না।
ভিসা দেওয়ার প্রধান মাধ্যম হল আমাদের প্রত্যেকের ব্যাক্তিগত পাসপোর্ট। যদি আপনি কোথাও যেতে চান তাহলে শুরুতেই যা থাকতে হবে আপনার তা হলো একটি বৈধ পাসপোর্ট। সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত পাসপোর্ট এর কয়েকটি নির্ধারিত পাতায় লিখে, সীল দিয়ে একটি বিশেষ স্টিকার লাগিয়ে দিলে একে বলে ভিসা। প্রত্যেক দেশেই তার দেশের জনগণের সুবিধার্তে কিছু দেশের দূতাবাস থাকে। ওই সব দূতাবাস থেকে নির্ধারিত ভিসা দেওয়া হয়।
নাগরিকদের ভিসা প্রদানের জন্য সকল দূুতাবাসের কনস্যুলার শাখা থাকে। এতে দুটি দেশই তাদের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে ভিসা ওয়েবিনার নীতিমালা প্রদান করে থাকে। কোন বিশেষ কারনে কিংবা বিশেষ কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে উভয় দেশই তাদের মধ্যকার ভিসা প্রদান সাময়িক বা স্থায়িভাবে স্থগিত করতে পারে।
বিশ্ব জুড়ে অনেক দেশই আছে যারা অয়েবিনার নিতিমালা প্রনয়ন করেছে। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এর কথা। তারা তাদের মধ্যে ওয়েবিনার চুক্তি সম্পাদন করে রেখেছে যাতে করে তাদের দেশের জনগণ ভিসা ব্যাতিত এক দেশ থেকে অপর দেশে ভ্রমন করতে পারে।
তাছারাও আরও অনেক দেশ আছে যারা বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভিসা প্রদান চালু রেখেছে। যেমন শেনঝেন চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত ২২ টি দেশ তাদের মধ্যকার জাতীয় সীমানা মুছে দিয়ে নাগরিকদের ভিসা ছাড়াই অন্যান্য দেশে ভ্রমন করার জন্য অবাধ সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। এর মূল উদ্দ্যেশ্যই ছিল সীমানাবিহীন ইউরোপ গঠন করা। যার কারনে এই ২২ টি দেশ এখন শেনঝেন এলাকা নামেই বেশী পরিচিত সকলের নিকট।
অন্যান্য দেশের জনগণ চাইলে শেনঝেন ভিসা নিয়ে উক্ত শেনঝেন এলাকায় ভ্রমন করতে যেতে পারে। কেউ যদি শেনঝেন ভিসা নিয়ে এর আওতাভুক্ত দেশগুলোর যেকোন একটি দেশে ভ্রমন করে তাহলে সে চাইলে এর আওতায় অন্যান্য দেশগুলোও ভ্রমন করতে পারবে।
আবার বলা যেতে পারে নেপাল ও ভারত এই দুটি দেশের কথা। ভারত ও নেপাল উভয়ে একিভাবে তাদের মধ্যকার এই সীমানা মুছে দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের অবাধ বিচরন করার সুযোগ দিয়েছে।
তবে এই সুযোগ শুধুমাত্র এই দুটি দেশের নাগরিকদের জন্যই। অন্যান্য দেশ থেকে যদি কেউ ভারত কিংবা নেপাল যেতে চায় তাহলে তাদের অবশ্যই ভিসার প্রয়োজন হবে।
ভিসা কাকে বলে?
আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন ভিসা আসলে কি। তাহলে এখন জেনে নিতে পারেন ভিসা কাকে বলে? সোজা ভাষায় বললে ভিসা হল একটি অনুমতি পত্র। কিসের অনুমতি? এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার অনুমতিপত্রই হল ভিসা। যদি কেউ কোন একটি দেশের ভিসা পায়, তাহলে সে ওই ভিসার মেয়াদকাল পযর্ন্ত ওই দেশে বৈধ অভিবাসী হিসেবে থাকতে পারবে। ভিসা ব্যাতিত অন্য দেশে গেলে যেকেউ অবৈধ বলে পরিগণিত হবে।
আরও পড়ুনঃ লো প্রেসার কেন হয় । প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ । প্রেসার লো হলে করণীয়
ভিসা কত প্রকার ও কি কি?
মানুষ নানা প্রয়োজনে বিশ্ব ভ্রমন করে থাকে। আর সেই জন্য ভিসার ও রয়েছে নানান ধরন। নিচে দেখে নিতে পারেন ভিসার কয়েক প্রকার। যেমনঃ
> কাজের ভিসা
> ব্যবসায় ভিসা
> ভ্রমন ভিসা
> স্টুডেন্ট ভিসা
> ভিসা ফ্রি এন্ট্রি
> মেডিক্যাল ভিসা
> গৃহ কর্মী ভিসা
> সাংবাদিক ভিসা
> ট্রান্সিট ভিসা
> ক্রিউ ভিসা
> এক্সচেঞ্জ ভিসা
> ম্যারিজ ভিসা
> শেঞ্ঝেন ভিসা
> ই ভিসা বা ইলেক্ট্রনিক ভিসা
বাংলাদেশিদের জন্য কোন কোন দেশের ভিসা খোলা আছে?
প্রত্যেক বছর একটি দেশের জন্য সকল প্রকার ভিসা খোলা থাকে না। বর্তমানে বাংলাদেশিদের জন্য বেশ কয়েকটি দেশ ভিসা প্রদান করছে। যেমনঃ
> কানাডা কাজের ভিসা
> কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা
> কানাডা ব্যবসায় ভিসা
> যুক্তরাষ্ট্র স্টুডেন্ট ভিসা
> যুক্তরাজ্য স্টুডেন্ট ভিসা
> সৌদি আরব কাজের ভিসা
> দুবাই কাজের ভিসা’
> দুবাই টুরিস্ট ভিসা
> ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা
> ফ্রান্স কাজের ভিসা
> রাশিয়া কাজের ভিসা
> ইতালি কাজের ভিসা
> কুয়েত কাজের ভিসা
> বেলারুশ কাজের ভিসা
> সার্বিয়া কাজের ভিসা
> মালদ্বীপ কাজের ভিসা
> রোমানিয়া কাজের ভিসা
> মালেয়েশিয়া কাজের ভিসা
> জর্ডান কাজের ভিসা
উপরিউক্ত ভিসা গুলো ছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশিরা বিশ্বের আরও নানা দেশে নানা ভিসায় যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কি- কেন হয়- ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়
ভিসা কিভাবে করতে হয়?
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যা প্রয়োজন তা হল ভিসা। ভিসা কি, ভিসা কাকে বলে তাও আমরা জেনে গেছি। নিম্নোক্ত লেখায় আমরা জানতে পারব ভিসা কিভাবে করতে হয়- ভিসা করতে কি কি লাগে- ভিসা করতে কত টাকা লাগে সহ ভিসা সংক্রান্ত আরও নানা তথ্য।
ভিসা কিভাবে করতে হয় এর উত্তর হল শুরুতেই আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যদি আপনি একজন বাংলাদেশি হয়ে থাকেন তাহলে ভিসার আবেদনের জন্য বাংলাদেশের সারকারের ভিসা ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসার জন্য সকল তথ্য উপাত্য দিয়ে ভিসার ফরম পুুরনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
শুরুতেই যেতে হবে আপনাকে গুগলে। গুগলে গিয়ে লিখবেন “বাংলাদেশ ভিসা”। এটি লিখে খোজ করলেই আপনার সামনেই চলে আসবে বাংলাদেশ সরকারের ভিসা ওয়েবসাইট https://www.visa.gov.bd/ । এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি আপনার পছন্দের দেশের জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়
ভিসা করতে কি কি লাগে?
আসুন এবার জেনে নেই ভিসা করতে কি কি লাগে? আপনি কোন দেশে যাবেন সেই দেশের নিয়মকানুনের উপর নির্ভর করে যে কি কি কাগজ পত্র আপনার লাগতে পারে। তবে কিছু কাগজপত্র আছে যা সাধারণত সকল দেশে যেতেই প্রয়োজন হয়। যেমনঃ আবেদন ফরম নির্ভুলভাবে পুরন করে জমা দিতে হয়।দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত সাইজের সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ছবি দেশ ভেদে ২ কপি থেকে ৮ কপি পযর্ন্ত লাগতে পারে।
বৈধ পাসপোর্টের ফটোকপি।
পাসপোর্টের প্রথম পাঁচ পাতার ফটোকপি। অনেক ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্টের সাথে পুরনো পাসপোর্টের কপির ও দরকার হয়ে থাকে।
এছাড়াও রয়েছে নানান কাগজপত্র। যেমন ভিসা আবেদন করার আগে মেডিকেল টেস্ট করতে হয়। মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার পর যদি FIT থাকেন, তবে ভিসা পাবেন। এছাড়াও, ব্যবসায় ভিসার জন্য বাধ্যতামুলক হল ট্রেড লাইসেন্স ও অফিসিয়াল প্রত্যয়নপত্রের এর ইংরেজি অনুবাদকৃত এবং নোটারিকৃত কপির মূলকপি।
বাংলা ট্রেড লাইসেন্সের মূুলকপি। ব্যবসার জন্য ব্যবহৃত কার্ড। জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সর্বশেষ প্রাপ্ত সনদের সত্যায়িত কপি। এয়ার টিকেট বুকিং স্লিপ। সেখানে থাকার ব্যবস্থার প্রমানপত্র ( বাসার ভাড়া, ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল, পানির বিল ইত্যাদি )।
উপরিউক্ত কাগজ গুলো ছাড়াও আরও নানান কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তা নির্ভর করে ভিসার ধরন ও দেশের উপর।
আরও পড়ুনঃ থাইরয়েড কি- থাইরয়েড কি কারণে হয়- থাইরয়েড কি ভালো হয়
ভিসা করতে কত টাকা লাগে?
ভিসা ও দেশ ভেদে খরচ বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। যেমন ইন্ডিয়ায় কাজের ভিসায় গেলে সময় ভেদে সর্বনিম্ন ৩৯,১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০,৭৪৫ টাকা খরচ হতে পারে। সেটিও আবার কোম্পানি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। ইন্ডিয়ায় ব্যবসায় ভিসার জন্য একইভাবে সর্বনিম্ন ২,১২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,২০০ টাকা পযর্ন্ত খরচ হয়। টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ১২৭৫ টাকা থেকে ২১২৫ টাকা পযর্ন্ত লাগতে পারে।
একই রকম ভাবে অন্যান্য দেশেও ভিসার ধরন অনুযায়ী খরচও ভিন্ন হয়।
ভিসার মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত থাকে?
ভিসার ধরন অনুযায়ী একেক দেশের ভিসার মেয়াদ একেক ধরনের হয়ে থাকে। ভিসায় ভিসার মেয়াদ সংক্রান্ত সকল প্রকার তথ্য উল্ল্যেখ থাকে। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য স্টুডেন্টদের কোর্স অনুযায়ী ভিসার মেয়াদ দেওয়া থাকে। যেমন কোন স্টুডেন্ট যদি অনার্স করার জন্য যুক্তরাজ্যে যায় তাহলে সে সর্বনিম্ন ৩ বা ৪ বছর ওই দেশে থাকার অনুমতি পেতে পারে। আবার কাজের ভিসার ক্ষেত্রে ও একি রকম ভাবেই ভিসায় মেয়াদ উল্ল্যেখ থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি আপনার কাজ কিংবা লেখাপড়ার জন্য সেই দেশে আবেদনের মাধ্যমে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে। আবার কিছু দেশ আছে যেগুলোতে একবার গেলে আপনি আপনার প্রয়োজন বুঝে একাধিকবার প্রবেশ করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী এর মেয়াদ হয়ে থাকে। যা পরবর্তিতে বাড়িয়েও নেওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা জেনে নিন
ভিসা পেতে কত দিন লাগে?
ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কোন দেশের ভিসার জন্য আবেদন করা হচ্ছে ওই দেশের উপর। যেমন ভারতের টুরিস্ট ভিসা পেতে সাধারণত ৭ থেকে ২১ দিন সময় লাগে। থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসায় সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ ৫-৭ দিন। দুবাইয়ের টুরিস্ট ভিসা পেতে লাগে ৩-৫ দিন। সিঙ্গাপুরের টুরিস্ট ভিসা পেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ দিন।
আরও পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার অ্যাপ [year]
ভিসা কিভাবে করতে হয়- ভিসা করতে কি কি লাগে- ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয়- শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি উপরের বর্ননা থেকে আপনারা বুঝতে পেরেছেন ভিসা কিভাবে করতে হয়- ভিসা করতে কি কি লাগে- ভিসা করতে কত টাকা লাগে?
সবশেষে বলতে চাই যেকোন দেশে যাওয়ার জন্য একমাত্র বৈধ উপায় হল ভিসা। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ভিসা কিভাবে করতে হয়- ভিসা করতে কি কি লাগে- ভিসা করতে কত টাকা লাগে সহ ভিসা সংক্রান্ত সকল খবর। ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে ভিসার নিয়ম অনুযায়ী শুরুতেই সকল প্রকার তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। সব কিছুর শেষে অপেক্ষা করতে একটি নির্দিষ্ট সময় পযর্ন্ত।
উপরের লেখনির মাধ্যমে চেষ্টা করেছি আপনাদের সামনে ভিসা নিয়ে সব কিছু তুলে ধরার জন্য যেমন ভিসা কিভাবে করতে হয়- ভিসা করতে কি কি লাগে- ভিসা করতে কত টাকা লাগে ইত্যাদি।