রোজা রাখলে শরীরের যেসব উপকার হয়- রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম একটি। রমজান মাসজুড়ে রোজা পালন মহান আল্লাহর নির্দেশ ও ফরজ ইবাদত। প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ নারী ও পুরুষের ওপর রোজা রাখাকে ফরজ করা হয়েছে। রোজা রাখায় রয়েছে অনেক উপকারিতা।

রোজা রাখলে শরীরের যেসব উপকার হয়
1. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: রোজা দেহের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং হার্টে চর্বির উপাদানগুলির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাঁদের ওজন বেশি, যাঁদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বা কোলেস্টেরল লেভেল বেশি, তাঁরা রোজা রেখে শারীরিক ওজন কমানোসহ নানা উপকার পেতে পারেন। এতে শরীরের চর্বি এবং মেদ-ভুঁড়ি কমানো যায়, যদি না ইফতার ও সাহরিতে মাত্রাতিরিক্ত গুরুপাক ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া হয়।
2. মস্তিষ্কের কার্যক্রম বৃদ্ধি: রোজা মস্তিষ্কের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে এবং মানসিক পরিবর্তনের সাথে একটি নিউরোট্রিফিক ফ্যাক্টর নিঃসৃত করে, যা মস্তিষ্কের কার্যক্রমের উন্নতি করে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, রোজার মাধ্যমে যে মানসিক পরিবর্তন আসে, তাতে মস্তিষ্ক থেকে এক ধরনের নিউরোট্রিফিক ফ্যাক্টর নিঃসৃত হয়, যা অধিক নিউরন তৈরিতে সাহায্য করে।
Also Read
3. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: রোজা দেহে নানা ধরনের ইনসুলিন তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
4. কিডনির পরিবর্তন: রোজা অবস্থায় কিডনি বিশ্রাম পায় এবং শরীরে প্রতি মিনিটে রক্ত সঞ্চালনা হয়, যা শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলি প্রস্রাব আকারে মূত্রথলিতে প্রেরণ করে। রোজা অবস্থায় সেহরি ও ইফতারের সময়ের মধ্যে কিডনি বিশ্রাম পায়। ফলে এ সময় কিডনি বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
5. লিভারের ওপর প্রভাব: রোজার সময় খাবার থেকে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন ও ফ্যাট লিভারে স্টোর হয়, যা লিভারের ফ্যাট ও শরীরের বাড়তি ওজন কমার সুযোগ সৃষ্টি করে।
6. পরিপাকপ্রক্রিয়া উন্নতি: রোজার মধ্যে খাদ্যনালির পরিপাকপ্রক্রিয়া আরো কার্যকর হয় এবং পুষ্টি উপাদানের সংগ্রহ সম্ভব হয়।
7. বদ-অভ্যাসগুলো এড়িয়ে ফেলা: রোজা এড়িয়ে ফেলে ধূমপান এবং অন্যান্য নেশাজাতীয় অভ্যাসগুলি, যা বিভিন্ন জটিল রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে ধূমপান ছাড়তে পারেন না। তাঁদের জন্য রমজান মাস উত্তম সময়। এই মাসে ধূমপানের মতো ক্ষতিকর ও বদ-অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন বা কমিয়ে দিন ।
আরো পড়ুনঃ