বাংলালিংক সিম 4g করার নিয়ম বিষয়ক আজকের এই পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বাংলালিংক সিম 4g করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করবো। আপনার কাছে যদি একটি বাংলালিংক সিম থাকে, এবং সেই সিমটি ৩জি হয়ে থাকে, তবে কিভাবে ৩জি সিম ৪জি করতে হয়, সে বিষয়ে বিস্তর ধারণা পাবেন এই পোস্ট থেকে।
৩জি সিমে নেটওয়ার্ক এর সমস্যা, প্যাকেজ কম সহ আরও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু, ৪জি সিমে ইন্টারনেট অনেক ফাস্ট, ইন্টারনেট প্যাকেজ রয়েছে প্রচুর। তো চলুন, কিভাবে বাংলালিংক 3g সিম 4g করবেন সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
৪জি এর সুবিধা কী?
৩জি সিমে যেখানে নেটওয়ার্ক পেতে বেগ পোহাতে হয়, সেখানে ৪জি সিমে যেকোনো জায়গা থেকে ৪জি কানেকশন দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ, কল, ম্যাসেজ করা সম্ভব। ইন্টারনেট এর সহজলভ্যতা এবং আমাদের সকলের হাতে স্মার্টফোন থাকায়, এখন সবার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩জি নেটওয়ার্ক এ ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। কোনো জায়গায় ফুল ৩জি নেট থাকলেও, কোথাও আবার ২জি পায় না।
কিন্তু, ৪জি সিম চালু হওয়ার পর থেকে এবং আমাদের দেশে ৪জি নেটওয়ার্ক এর কাভারেজ বৃদ্ধি করার পর থেকে যেকোনো জায়গায় ৪জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর স্পিড, ডাউনলোড এবং আপলোড এর স্পিড অনেক বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও, ৪জি ইন্টারনেট প্যাকেজ ক্রয় করলে আরও অনেক বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।
প্রতিটি সিমের আলাদা ৪জি ইন্টারনেট প্যাকেজ রয়েছে। এই পোস্টটি যেহেতু বাংলালিংক সিম 4g করার নিয়ম নিয়ে, তাই, বাংলালিংক ৪জি সিমের ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়েও আলোচনা করবো। চলুন, আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
বাংলালিংক 4g সিমের সুবিধা কি?
বাংলালিংক ৪জি সিমের সুবিধা হচ্ছে বাফার ফ্রি ভিডিও প্লে করার সুবিধা, হাই স্পিড ডাউনলোড এবং আপলোড, যেকোনো জায়গায় সেরা ইন্টারনেট স্পিড সহ আরও অনেক ফিচার। বাংলালিংক ৪জি ইন্টারনেট প্যাকেজ ক্রয় করলে এই প্যাকেজের জন্য পাবেন আলাদা স্পিড। এছাড়াও, ৪জি ইন্টারনেট হওয়ার কারণে এইচডি কোয়ালিটিতে ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন এবং আরও অনেক সুবিধা রয়েছে যা ৩জি ইন্টারনেটে পাবেন না।
বাংলালিংক 4g সিমের সুবিধা তো জানা হলো। আপনারও নিশ্চয়ই ৩জি সিমটি ৪জি করতে ইচ্ছে করছে। তো চলুন, বাংলালিংক সিম 4g করার নিয়ম জেনে নেয়া যাক।
বাংলালিংক সিম 4g কিনা চেক করার উপায়
বাংলালিংক সিম 4g কিনা কিভাবে চেক করব এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। আপনার সিমটি ৩জি নাকি ৪জি চেক করতে হলে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে 4G লিখে 5000 নাম্বারে একটি এসএমএস পাঠিয়ে দিবেন। ফিরতি ম্যাসেজে আপনাকে জানিয়ে দিবে, আপনার সিমটি ৪জি কিনা। যদি আপনার সিমটি ৩জি হয়ে থাকে এবং আপনি ৪জি করতে চান, তবে চলুন, জেনে নেয়া যাক, বাংলালিংক সিম 4g করার নিয়ম।
এছাড়াও, আপনার সিমটি ৩জি থেকে ৪জি করতে পারবেন কিনা জানার জন্য একটি কাজ করতে পারেন। এটি হচ্ছে, ম্যাসেজ অপশন থেকে Free4G লিখে 2500 নাম্বারে এসএমএস করতে পারেন। ফিরতি ম্যাসেজে আপনার সিমটি ৩জি থেকে ৪জি করতে পারবেন কিনা জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়াও, আপনি চাইলে একটি কোড ডায়াল করে বাংলালিংক সিম ৩জি থেকে ৪জি করা যাবে কিনা জেনে নিতে পারেন।
এজন্য, *5000*40# কোড ডায়াল করুন। ফ্ল্যাশ ম্যাসেজে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে আপনার বাংলালিংক সিমটি 3G থেকে 4G তে রিপ্লেস করে নিতে পারবেন কিনা।
চেক করার পর যদি দেখেন আপনার সিমটি ৩জি এবং আপনি সিমটি ৪জি তে রিপ্লেস করতে পারবেন, তাহলে বাংলালিংক সিম 4g করার নিয়ম অনুসরণ করে সহজেই আপনার সিমটি ৪জি করে নিতে পারবেন।
বাংলালিংক সিম 4g করার নিয়ম
বাংলালিংক সিম 4g করার জন্য আপনার নিকটস্থ কোনো বাংলালিংক সিমের রিটেইলার এর দোকান কিংবা বাংলালিংক কাস্টোমার কেয়ার যেতে হবে। এরপর, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ২০০ টাকা দিলে সিমটি ৪জি তে রিপ্লেস করে দিবে।
বাংলালিংক রিটেইলার কিংবা বাংলালিংক কাস্টোমার কেয়ার যাওয়ার সময় অবশ্যই সঙ্গে জাতীয় পরিচয় পত্র নিতে হবে। সিমটি যদি আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে থাকে, তবে আপনার এনআইডি কার্ড নিয়ে যেতে হবে। যদি আপনার পরিবারের কারও এনআইডি কার্ড দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে থাকে, তার এনআইডি কার্ড নিয়ে যেতে হবে।
সিম রিপ্লেস করার জন্য দোকান বা কাস্টোমার কেয়ারে ২০০ টাকা নিবে। এজন্য, সঙ্গে করে ২০০ টাকা নিতে ভুলবেন না। কিংবা, আপনার থেকে ২৫০ টাকাও চাইতে পারে। তাই, এই দুইটি জিনিস অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এছাড়াও, সিমটি যে ব্যক্তির এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, তাকে অবশ্যই যেতে হবে। অতঃপর, আপনার সিমের রেজিস্ট্রেশন চেক করে সিমটি ৪জি তে রিপ্লেস করে দিবে।
বাংলালিংক 4g সিমের নতুন অফার
বাংলালিংক সিম ৪জি করার পর আপনি ফ্রি ৮ জিবি ইন্টারনেট ৪জি প্যাকেজ ৭ দিন মেয়াদে পেয়ে যাবেন। আপনার ৩জি সিমটি রিপ্লেস করে ৪জি করে নেয়ার পর, কাস্টোমার কেয়ার কিংবা রিটেইলার এর থেকে ৮ জিবি ইন্টারনেট প্যাকেজ ফ্রিতে পেয়ে যাবেন। অতঃপর, এই ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারবেন যেকোনো ভাবে।
একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, বাংলালিংক ৪জি সিম ব্যবহার করতে হলে আপনার মোবাইলটিও ৪জি হতে হবে। শুধু সিম ৪জি হলে ৪জি এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। সিম এবং ফোন উভয়ই ৪জি হতে হবে। আপনার ফোন যদি ৩জি হয়, তবে সিম ৪জি হওয়া সত্ত্বেও ৩জি চালাতে পারবেন। ফোন এবং সিম উভয়ই যদি ৪জি হয়, তবে ইন্টারনেট স্পিড, ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিড অনেক বেশি পাবেন। এছাড়াও, বাফার ফ্রি ভিডিও স্ট্রিম করার সুবিধা তো থাকছেই।
বাংলালিংক ইন্টারনেট অফার ২০২৩
- বাংলালিংক ১২ জিবি ১৪৯ টাকা।মেয়াদঃ ৭ দিন। ডায়াল করুন – *5000*149#
- বাংলালিংক ১৬ জিবি ১৬৯ টাকা।মেয়াদঃ ৭ দিন। ডায়াল করুন – *5000*169#
- বাংলালিংক ১৮ জিবি ১৯৯ টাকা।মেয়াদঃ ৭ দিন। ডায়াল করুন – *5000*199#
- বাংলালিংক ১৫০ এমবি ২৬ টাকা।মেয়াদঃ ৭ দিন। ডায়াল করুন – *৫০০০*৫২২#
- বাংলালিংক ৫০০ এমবি ৪২ টাকা।মেয়াদঃ ৭ দিন। ডায়াল করুন – *৫০০০*৫৮৮#
- বাংলালিংক ৪ জিবি ১০৮ টাকা।মেয়াদঃ ৭ দিন। ডায়াল করুন – *৫০০০*১০৮#
- বাংলালিংক ৯ জিবি ১২৯ টাকা।মেয়াদঃ ৭ দিন। ডায়াল করুন – *৫০০০*১২৯#
আমাদের শেষ কথা
ফেরদাউস একাডেমির আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বাংলালিংক সিম 4g করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি, এই পোস্ট থেকে আপনার বাংলালিংক ৩জি সিম ৪জি কিভাবে করতে হয় জানতে পেরেছেন। এছাড়াও, বাংলালিংক সিম 4g কিনা কিভাবে চেক করবেন সে বিষয় নিয়েও কথা বলেছি। এমন আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের বিডি সিম অফার ক্যাটাগরি ঘুরে আসতে পারেন।