কম্পিউটার কাকে বলে
প্রিন্টার কি? প্রিন্টার কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়টি অনেকেই জানে না কিন্তু সকলের জানা উচিত। বিশেষ করে যারা সরকারী বা বেসরকারী চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অথবা বিসিএস দিতে চান তাদের জন্য তো অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। কেননা বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষন করলে দেখা যায় কম্পিউটার নিয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন থাকে। তাই আজকের পোষ্টে আমরা প্রিন্টার কি? প্রিন্টার কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
আজকের পোষ্টে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব তা হলো প্রিন্টার কি, প্রিন্টার কাকে বলে, প্রিন্টার কত প্রকার ও কি কি, প্রিন্টার কি ধরনের ডিভাইস, প্রিন্টার কিভাবে কাজ করে, প্রিন্টারের কাজ কি, প্রিন্টার ব্যবহারের নিয়ম, প্রিন্টার কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত, প্রিন্টারের দাম কত ইত্যাদি। তো চলুন শুরু করা যাক-
প্রিন্টার কি
প্রিন্টার হলো একটি পেরিফেরাল যন্ত্র, যা কম্পিউটারে প্রাপ্ত ফলাফল কাগজে ছাপানো যায়। এটি বহুলব্যবহৃত আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে, যা গ্রাফিক্স, ইমেজ, এবং টেক্সট ডকুমেন্ট কাগজে প্রিন্ট করে। প্রিন্টার সাধারণত সাদা-কালো লেজার প্রিন্টার এবং রঙিন ইনক জেট প্রিন্টারে বিভক্ত হয়। সাদা-কালো লেজার প্রিন্টার দিয়ে কাগজপত্রাদি, দলিলাদি প্রিন্ট করা হয়, আর রঙিন ইনক জেট প্রিন্টার দিয়ে উচ্চ মানের ছবি এবং টেক্সট প্রিন্ট করা যায়। কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত প্রিন্টারের ড্রাইভার ইনস্টল করে নিতে হবে, যাতে প্রিন্টার সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
প্রিন্টার কাকে বলে
কম্পিউটারের যে ডিভাইস কম্পিউটার থেকে ডেটা গ্রহণ করে এবং তা কাগজ, প্লাস্টিক, ফেব্রিক বা অন্যান্য উপকরণে মুদ্রণ করে তাকে প্রিন্টার বলে। এটি কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস (Output Device)। কম্পিউটারে কোন নথিপত্র বা ডকুমেন্ট তৈরি করে প্রিন্ট হওয়ার নির্দেশ দিলেই তা প্রিন্ট হবে না, প্রতিটি প্রিন্টারের তার নিজস্ব প্রিন্ট ড্রাইভার বা প্রোগ্রাম আছে। কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত প্রিন্টারের ড্রাইভারটি সঠিকভাবে ইনস্টল করে তারপর সেটিং অপশন গিয়ে ঠিক মতো সেট আপ করে তারপর প্রিন্ট দিলে তখনই ঠিকমতো প্রিন্ট হবে।
প্রিন্টার কত প্রকার ও কি কি
প্রিন্টার প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ-
- ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার।
- নন ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার।
ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার
ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এমন এক প্রিন্টার যা কাগজের উপর হেড স্পর্শ করে প্রিন্ট করে। এই ধরনের প্রিন্টারে ছবি ও প্রিন্ট তেমন ভালো হয় না। ফলে এই ধরনের প্রিন্টারের ব্যবহার খুব একটা দেখা যায় না । এই প্রিন্টারে কালি রিবনের সাথে পিনের ঘর্ষণের ফলে জোরে জোরে শব্দের সৃষ্টি হয়। এই টাইপের প্রিন্টারের উদাহরণ হলো- ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার।
ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার দুই প্রকার। যথাঃ-
- লাইন প্রিন্টার (Line Printer).
- অক্ষর প্রিন্টার বা সিরিয়াল (Serial Printer).
লাইন প্রিন্টার (Line Printer).
লাইন প্রিন্টার হলো একটি ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার যা কাগজের একটি অবিচ্ছিন্ন ফিড ব্যবহার করে এবং একবারে পাঠ্যের একটি লাইন মুদ্রণ করে। এই প্রিন্টার প্রতি বারে একটি করে লাইনের অনেকগুলো ক্যারেক্টার মুদ্রন করে। সাধারণত প্রতি লাইনে ১৩২টি ক্যারেক্টার থাকে। অনুভূমিক দিক বরাবর ইঞ্চিতে ১০টি ক্যারেক্টার এবং উলা বরাবর প্রতি ইঞ্চিতে ৬ থেকে ৮টি লাইন থাকে। এ ধরনের প্রিন্টার দ্রুতগতিসম্পন্ন হয়ে থাকে। এটি প্রতি মিনিটে ২০০ থেকে ৩০০০ লাইন প্রিন্ট করতে পারে। এই প্রিন্টারগুলো খুব বেশি ব্যবহার হয় না , তবে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এখনও এই প্রিন্টার ব্যবহৃত হয় কারণ এতে কম খরচে অনেক কপি প্রিন্ট করা যায়। লাইন প্রিন্টারকে প্যারালাল প্রিন্টারও বলা হয়ে থাকে।
লাইন প্রিন্টার আবার দুই প্রকার। যথা:
- চেইন প্রিন্টার (Chain Printer)
- ড্রাম প্রিন্টার (Drum Printer)
চেইন প্রিন্টার
চেইন প্রিন্টার হলো এমন এক টাইপের প্রিন্টার, যেখানে একটি চেইনে কয়েক সেট বর্ণ থাকে এবং একটি হ্যামার থাকে। এই প্রিন্টারে অক্ষর খোদাই করা হয় এবং চেইনের কোনো বর্ণ কাগজে যে জায়গাতে ছাপাতে হবে সেই জায়গাতে এলে হ্যামার কাগজ ও রিবনকে সে বর্ণের ওপর চাপ দিয়ে ধরে ফলে সেই বর্ণ মুদ্রিত হয়। সাধারণত এই প্রিন্টারের মাধ্যমে বৃহৎ আকারের ছবি, প্রতীক, মানচিত্র, আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ইত্যাদির প্রিন্ট নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও এটা প্রিন্টারের মতো ইমেজ বা ছবি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তবে তার কার্যপ্রণালী অন্যান্য প্রিন্টার হতে ভিন্ন।
ড্রাম প্রিন্টার
ড্রাম প্রিন্টার একটি সিলিন্ডার আকৃতির ড্রাম নিয়ে গঠিত, যার গায়ে সারিবদ্ধভাবে অক্ষরসমূহ খোদাই করা থাকে। ড্রাম প্রিন্টারে হ্যামার ও ড্রামের মাঝখানে কার্বন রিবন ও পেপার থাকে। এটি অক্ষর ছাপার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং বিশেষভাবে দলিলাদি প্রিন্ট করার জন্য এই প্রিন্টার সুবিধাজনক।
সিরিয়াল প্রিন্টার
সিরিয়াল প্রিন্টার হলো একটি বর্ণ প্রিন্টার, যেখানে একবারে মাত্র একটি বর্ণ ছাপা হয়। এটি ধীরগতি সম্পন্ন এবং সাধারণত সাদা-কালো বা রঙিন প্রিন্টার হতে পারে। সিরিয়াল প্রিন্টার দ্বারা কাগজপত্র, দলিলাদি প্রিন্ট করা হয়। এটি দাম কম কিন্তু প্রিন্ট করতে বেশি সময় নেয় এবং এক নাগাড়ে ঘণ্টাখানেকের বেশিক্ষণ কাজ করতে পারে না। সিরিয়াল প্রিন্টারে ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার এবং অন্যান্য প্রিন্টারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সিরিয়াল প্রিন্টার ২ প্রকার। যথা:
- ডেইজি হুইল প্রিন্টার (Daisy wheel Printer)
- ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার (Dot matrix Printer)
ডেইজি হুইল প্রিন্টার
ডেইজি হুইল প্রিন্টার হলো এক ধরনের সলিড ফ্রন্ট টাইপ ক্যারেক্টার প্রিন্টার। এই প্রিন্টারের প্রিন্টিং হেডটি চ্যাপ্টা চাকার মতো এবং সাথে সাইকেলের স্পোকের মতো অনেকগুলো স্পোক লাগানো থাকে। প্রতিটি স্পোকের মাথায় একটি করে অক্ষর বা ক্যারেক্টার খোদাই করা থাকে। প্রিন্টিং হেডটি দেখতে ডেইজি ফুলের মতো হওয়ার এই প্রিন্টারের নাম ডেইজি হুইল প্রিন্টার। প্রিন্ট করার সময় প্রিন্টারের চাকাটি ঘুরতে থাকে এবং অক্ষর খোদাই করা স্পোকগুলি কালিযুক্ত রিবনে আঘাত করে এবং কাগজের ওপর অক্ষর ছাপা হয়। এই প্রিন্টারগুলি উভয় দিকে অক্ষর ছাপাতে পারে এবং ছাপানোর মান ভালো। তবে দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। তবে এই প্রিন্টারের গতি খুব কম থাকে যার প্রিন্টের গতি প্রতি সেকেন্ডে ২০ থেকে ৪০টি বর্ণের মতো।
ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার
ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার একটি সংস্পর্শ বা ধাক্কা জাতীয় প্রিন্টার। এই টাইপের প্রিন্টারের প্রিন্টিং হেডের পিনের সাহায্যে কয়েকটি কালির ফোঁটা দিয়ে অক্ষর লেখা হয়। এই প্রিন্টারের প্রিন্টিং হেডে ৯২,৪৪৮ পিন বা তারও বেশি পিনবিশিষ্ট হয়ে থাকে। পিনের সংখ্যা যত বেশি হয়, প্রিন্টের মানও তত ভালো হয়। প্রিন্টারে কাগজ ও প্রিন্টার হেডের মাঝখানে এক ধরনের কালিযুক্ত রিবন থাকে। যখন যে বর্ণ ছাপাতে হয় তখন সেই বর্ণের বিন্দুগুলোর অনুরূপ পিনগুলো প্রিন্ট হেড থেকে বেরিয়ে এসে কালি মাখানো রিবনকে কাগজের ওপর চাপ দেয়। ফলে সেই অক্ষরের ডটগুলো অর্থাৎ সেই অক্ষরগুলো ছাপানো হয়ে যায়।
এক লাইন পুরো হয়ে গেলে কাগজ একটু সরে গিয়ে পরের লাইনে চলে যায় আর প্রিন্ট হেডও সেই সাথে বাঁদিকের শেষ প্রান্তে সরে গিয়ে আবার প্রিন্ট করতে শুরু করে। তবে কিছু ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার উভয়মুখী, অর্থাৎ তারা বাম থেকে ডান এবং ডান থেকে বাম উভয় দিকেই প্রিন্ট করতে পারে। এতে অপেক্ষাকৃত দ্রুততম সময়ে প্রিন্ট হয়।
আরও পড়ুন: কম্পিউটারের জনক কে
নন-ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার
যে সকল প্রিন্টারে প্রিন্ট হেড কাগজকে সাধারণত স্পর্শ করে না তাদেরকে নন ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার বলা হয়। এ ধরনের প্রিন্টারের রেজুলাশন ও গতি বেশি থাকে। আবার প্রিন্ট করার সময় সাধারণত শব্দ হয় না। তবে দাম তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। নন-ইম্প্যাক্ট প্রিন্টার বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। যেমন
- লেজার প্রিন্টার (Laser Printer)
- ইংকজেট প্রিন্টার ( Inkjet Printer)
- থার্মাল প্রিন্টার (Thermal Printer)
- স্থির বা স্থিতি বৈদ্যুতিক প্রিন্টার (Electrostatic Printer); ইত্যাদি।
লেজার প্রিন্টার
প্রিন্টিংয়ের গুণগত মানের দিক বিবেচনায় লেজার প্রিন্টার হচ্ছে সবচেয়ে ভালো প্রিন্টার। যদিও এই প্রিন্টারের দাম অনেক বেশি। কিন্তু এ ধরনের প্রিন্টারের মাধ্যমে দ্রুততিতে ও সবচেয়ে সুন্দরতম লেখা প্রিন্ট করা যায়। এই প্রিন্টার লেজার রশ্মির সাহায্যে (LASER Light Amplification by Stimulated Emission of Radiation) কাগজে লেখা ফুটিয়ে তোলে। লেজার প্রিন্টারের প্রধান অংশগুলো হলো লেজার হেড, ড্রাম ইউনিট ও টোনার কার্টিজ। ড্রাম ইউনিট আলোক সংবেদনশীল উপাদান দ্বারা তৈরি।
যখন ড্রাম ইউনিটটি ঘুরে তখন এক ধরনের স্থির ধনাত্মক চার্জ তৈরি হয়। লেজার হেডটি পরিচালনা করার জন্য এক ধরনের জটিল সার্কিট ব্যবহার করা হয়। টোনারের মধ্যে থাকে গুঁড়ো কালি। প্রতিটি লেজার প্রিন্টারে একটি বিশেষ মেমরি থাকে। যে ডেটা প্রিন্ট করতে হবে সিস্টেম ইউনিট থেকে সে ডেটা লেজার প্রিন্টারের বিশেষ মেমরিতে নিয়ে আসে। এ ধরনের প্রিন্টারের গতি সাধারণত 10,000 LPM (Line per Minute) |
ইংকজেট প্রিন্টার
যে প্রিন্টার কালি ছড়িয়ে বা স্প্রে করে কম্পিউটারের ফলাফলকে প্রিন্ট করে তাকে ইংকজেট প্রিন্টার বলা হয়। প্রিন্টের গুণগতমান ও দামের দিক দিয়ে এটি তুলনামূলকভাবে সম্ভা এবং ভালো প্রিন্টার। এ ধরনের প্রিন্টারের প্রধান অংশগুলো হলো প্রিন্টিং হেড, কার্টিজ, হেড সরানো ও কাগজ গ্রহণ করার কৌশল।
প্রিন্টারের হেডে অনেকগুরো ছিদ্র (300 থেকে 600টি ছিদ্র) দ্বারা সাজানো থাকে। ছিদ্রের ব্যাস হয় ৫০ থেকে ৬০ মাইক্রোন। কার্টিজের মধ্যে তরল কালি (কালার প্রিন্টারের ক্ষেত্রে চারটি রঙের কালি) ব্যবহার করা হয়। প্রিন্টিং হেডের সাথে কালি বসানো থাকে। আর তরল কালিগুলো হেডের ছিদ্র পথ দিয়ে স্প্রে করা হয়। হেডটি বাম দিক থেকে ডান দিকে গেলে একটি লাইন প্রিন্ট হয়।
একটি লাইন প্রিন্ট হওয়ার পর কাগজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী লাইনে প্রিন্ট হওয়ার অবস্থানে চলে যায়। এ ধরনের প্রিন্টারের প্রিন্ট কোয়ালিটি থার্মাল প্রিন্টারের চেয়ে অনেক ভালো এবং রেজুল্যুশন 360 DPI থেকে 1440 DPI পর্যন্ত হয়ে থাকে।
লেজার প্রিন্টার ও ইংকজেট প্রিন্টার এর মধ্যে পার্থক্য কি
লেজার এবং ইংকজেট প্রিন্টার দুটোই খুবই জনপ্রিয় প্রিন্টার। এই দুইটির মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য আছে। যে বিষয়গুলো জানলে আপনার জন্য কোন প্রিন্টারটি উপযুক্ত তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। লেজার প্রিন্টার এবং ইংকজেক্ট প্রিন্টার দুটি প্রিন্টারের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। চলুন দেখে নিই সেই পার্থক্য:
লেজার প্রিন্টার | ইংকজেক্ট প্রিন্টার |
লেজার প্রিন্টার লেজার এবং টোনার ব্যবহার করে প্রিন্ট করে। |
ইংকজেক্ট প্রিন্টার কাগজের উপর ইংক নোজল দিয়ে তরল কালি স্প্রে এর মাধ্যমে প্রিন্ট করে। |
লেজার প্রিন্টারের মাধ্যমে খুব দ্রুত প্রিন্ট করা যায় বিশেষ করে যখন অনেক বেশি সংখ্যক পৃষ্ঠা প্রিন্ট করার দরকার হয়। |
ইংকজেট প্রিন্টার ধীর গতিতে প্রিন্ট করে, বিশেষ করে যখন রঙিন ছবি বা পোষ্টার প্রিন্ট করা হয়। |
লেজার প্রিন্টার সাধারণত বেশি দামি হয়, কিন্তু টোনার কার্তুজ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাই প্রতি পৃষ্ঠার খরচও কম হয়। | ইংকজেট প্রিন্টার কম দামি হয়, কিন্তু কালি কার্তুজ দ্রুত শেষ হয়ে যায়, তাই প্রতি পৃষ্ঠার খরচও বেশি হয়। |
লেজার প্রিন্টার ব্যবহারে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং ব্যবহারের সময় কম শব্দ করে। | ইংকজেট প্রিন্টার ব্যবহারে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং প্রিন্ট করার সময় বেশি শব্দ করে। |
লেজার প্রিন্টার অফিস এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেখানে বেশি পরিমাণে প্রিন্টিংয়ের প্রয়োজন হয়। | ইংকজেট প্রিন্টার ছোট অফিস, বাড়ি এবং ছাত্রদের ব্যবহারের জন্য ভালো। |
আরও পড়ুন: কম্পিউটার দিয়ে কি কি কাজ করা যায়।
থার্মাল প্রিন্টার
থার্মাল প্রিন্টারে কোনো কালি ও রিবন ইউজ হয় না, শুধুমাত্র রাসায়নিক প্রলেপ দেয়া কাগজ ব্যবহার করা হয়। এ টাইপের প্রিন্টারের প্রিন্ট হেড অনেকটা ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারের মতো তবে এখানে পিনের বদলে কতকগুলো বিদ্যুত রোধক বিন্দু থাকে। ছাপার কাগজে বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা প্রলেপ লাগানো থাকে, যা খুব দামি এবং এটির সাহায্যে প্রিন্ট করা হয়। এ ধরনের প্রিন্টারের ছাপানোর গতি সাধারণত 5.000 LPM (Line per Minute) |
স্থির বৈদ্যুতিক প্রিন্টার
ইলেট্রোস্ট্যাটিক প্রিন্টার কম্পিউটারের ফলাফলকে বৈদ্যুতিক চার্জের সাহায্যে প্রিন্ট করে। এটির কার্যপ্রণালী ফটোস্ট্যাট মেশিনের অনুরূপ। এ ধরনের প্রিন্টারে কতকগুলো লিব থাকে যাকে বলে স্টাইলাস এবং যার দ্বারা লেখা হয়। বিশেষ ধরনের কাগজে লিব দ্বারা কোনো বর্ণের ডট ম্যাট্রিক্স উৎপন্ন করা হয়, তবে ডটগুলো হয় বৈদ্যুতিক চার্জের। এ ধরনের প্রিন্টারের সাহায্যে ছাপা ভালো হয় এবং প্রিন্টারের ছাপানোর গতি সাধারণত 5,000 LPM (Line per Minute) |।
প্রিন্টার কি ধরনের ডিভাইস
কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিট থেকে ফলাফল হিসাবে প্রিন্ট আকারে যা বেরিয়ে আসে, তাকে আউটপুট বলে। আর যে যন্ত্রের মাধ্যমে সেই ফলাফল বেরিয়ে আসে, সেই যন্ত্রটিকে বলা হয় আউটপুট ডিভাইস। যেহেতু কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের ভেতর থেকে ডকুমেন্ট প্রিন্ট আকারে বেরিয়ে আসে, তাই প্রিন্টার একটি আউটপুট ডিভাইস।
প্রিন্টার কিভাবে কাজ করে
প্রিন্টার বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে, তবে সবচেয়ে সাধারণ দুটি প্রযুক্তি হল:
ইঙ্কজেট প্রিন্টার
- ইঙ্ক কার্তুজ: এতে বিভিন্ন রঙের ইঙ্ক থাকে, যেমন কালো, সায়ান, ম্যাজেন্টা এবং হলুদ।
- প্রিন্ট হেড: ছোট ছোট নোজল থাকে যা কাগজে সূক্ষ্ম কালির বিন্দু নিক্ষেপ করে।
- প্লেটেন: এটি কাগজ ধরে রাখে যখন এটি মুদ্রণ করা হয়।
মুদ্রণ প্রক্রিয়া
- কম্পিউটার থেকে ডেটা: প্রিন্টার কম্পিউটার থেকে ডেটা গ্রহণ করে, যা মুদ্রণ করা টেক্সট, ছবি বা অন্যান্য ডেটা হতে পারে।
- ডিজিটাল থেকে অ্যানালগ: প্রিন্টার ডিজিটাল ডেটাকে এমন সংকেতে রূপান্তর করে যা প্রিন্ট হেড বুঝতে পারে।
- ইঙ্ক নিক্ষেপ: প্রিন্ট হেড নোজলগুলি সঠিক সময়ে এবং সঠিক পরিমাণে কাগজে সঠিক রঙের ইঙ্কের বিন্দু নিক্ষেপ করে।
- চিত্র তৈরি: ইঙ্কের বিন্দুগুলি একসাথে মিশে বিভিন্ন রঙ এবং ছায়া তৈরি করে, যা মূল ডেটার একটি চিত্র তৈরি করে।
লেজার প্রিন্টার
- টোনার কার্তুজ: এতে শুষ্ক পাউডার রয়েছে যা “টোনার” নামে পরিচিত।
- ড্রাম: একটি আলোক-সংবেদনশীল ড্রাম যা লেজার দ্বারা চার্জ করা হয়।
- লেজার: ড্রামের উপর নির্দিষ্ট এলাকায় আলো প্রেরণ করে।
- টোনার প্রয়োগ: চার্জ করা এলাকায় টোনার আঁচড়ে লেগে থাকে।
- ফিউজার: তাপ ব্যবহার করে টোনার কাগজে স্থায়ীভাবে লেগে যায়।
- প্লেটেন: এটি মুদ্রণের সময় কাগজ ধরে রাখে।
মুদ্রণ প্রক্রিয়া
- কম্পিউটার থেকে ডেটা: প্রিন্টার কম্পিউটার থেকে ডেটা গ্রহণ করে।
- ডিজিটাল থেকে অ্যানালগ: প্রিন্টার ডিজিটাল ডেটাকে এমন সংকেতে রূপান্তর করে যা লেজার বুঝতে পারে।
- ইলেকট্রোস্ট্যাটিক চিত্র তৈরি: লেজার ড্রামের নির্দিষ্ট এলাকায় আলো প্রদান করে, যা সেই এলাকাগুলিকে ইতিবাচকভাবে চার্জ করে।
- টোনার আঁচড়ে লাগানো: টোনার কার্তুজ থেকে নেতিবাচকভাবে চার্জ করা টোনার ড্রামের চার্জ করা এলাকায় আঁচড়ে লেগে থাকে।
- টোনার ট্রান্সফার: কাগজ ড্রামের উপর দিয়ে যায়, এবং টোনার কাগজে স্থানান্তরিত হয়।
- টোনার স্থায়ীকরণ: ফিউজার তাপ এবং চাপ ব্যবহার করে টোনার কাগজ
প্রিন্টারের কাজ কি
প্রিন্টার হল একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা কম্পিউটার থেকে ডেটা গ্রহণ করে এবং তা কাগজ, প্লাস্টিক, বা অন্য কোনও উপরিপৃষ্ঠে মুদ্রণ করে। এটি একটি আউটপুট ডিভাইস হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ এটি ডিজিটাল তথ্যকে শারীরিক, দৃশ্যমান ফর্মে রূপান্তর করে। সাধারণভাবে দুই প্রকার প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়, সাদা-কালো এবং রঙিন প্রিন্টার। সাদা-কালো প্রিন্টার দিয়ে প্রধানত নথিপত্র ও দলিল দস্তাবেজ প্রিন্ট করা হয় আর রঙিন প্রিন্টার দিয়ে উন্নত মানের ছবি বা গ্রাফ বা এই জাতীয় জিনিসপত্র প্রিন্ট দেওয়া হয়।
প্রিন্টার ব্যবহারের নিয়ম
প্রিন্টার ব্যবহারের নিয়মগুলি ব্যবহৃত প্রিন্টারের ধরণ এবং মডেলের উপর নির্ভর করে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে, কিছু সাধারণ নিয়ম রয়েছে যা বেশিরভাগ প্রিন্টারের জন্য প্রযোজ্য:
প্রিন্টার সংযোগ:
- ক্যাবল সংযোগ: প্রথমে প্রিন্টারের সাথে সরবরাহ করা USB তারের মাধ্যমে প্রিন্টারটিকে আপনার কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
- ওয়্যারলেস সংযোগ: যদি আপনার প্রিন্টার Wi-Fi-সক্ষম হয়, তবে আপনি Wi-Fi নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি সংযোগ করতে পারেন প্রিন্টারের নির্দেশিকা অনুসরণ করে।
ড্রাইভার ইনস্টল করা:
- সিডি ব্যবহার করুন: আপনার প্রিন্টারের সাথে সরবরাহ করা সিডি থেকে প্রিন্টার ড্রাইভার ইনস্টল করুন।
- নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করুন: আপনার প্রিন্টারের নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষতম ড্রাইভার ডাউনলোড এবং ইনস্টল করুন।
মুদ্রণ প্রক্রিয়া:
- ফাইল খুলুন: আপনি যে ফাইলটি মুদ্রণ করতে চান তা খুলুন।
- “Print” অপশন নির্বাচন করুন: অ্যাপ্লিকেশনের “File” মেনু থেকে “Print” অপশন নির্বাচন করুন।
- প্রিন্টার নির্বাচন করুন: “Printer” ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে আপনার প্রিন্টার নির্বাচন করুন।
- মুদ্রণ সেটিংস নির্বাচন করুন: আপনি কত কপি মুদ্রণ করতে চান, কোন রঙে মুদ্রণ করতে চান, এবং কাগজের আকার কেমন হবে তা সহ মুদ্রণ সেটিংস নির্বাচন করুন।
- “Print” বাটনে ক্লিক করুন: মুদ্রণ প্রক্রিয়া শুরু করতে “Print” বাটনে ক্লিক করুন।
প্রিন্টার ব্যবহারের কিছু টিপস:
- প্রিন্টারের নির্দেশিকা পড়ুন: আপনার প্রিন্টারের সাথে সরবরাহ করা নির্দেশিকাটি পড়ুন যাতে আপনি এর সকল বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন।
- উচ্চ-মানের কাগজ ব্যবহার করুন: ভাল মানের কাগজ ব্যবহার করলে আপনার মুদ্রণ আরও স্পষ্ট এবং সুন্দর হবে।
- নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করুন: প্রিন্টারের হেড পরিষ্কার করুন এবং নিয়মিতভাবে টোনার/ইঙ্ক কার্তুজ পরিবর্তন করুন।
- সমস্যা সমাধান: যদি আপনার মুদ্রণের সাথে সমস্যা হয়, তবে প্রিন্টারের নির্দেশিকা বা নির্মাতার ওয়েবসাইট দেখুন সমাধানের জন্য।
এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার প্রিন্টার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং উচ্চ-মানের মুদ্রণ পেতে পারবেন।
প্রিন্টার কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত
প্রিন্টার কেনার আগ যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন
আপনার প্রয়োজন:
- আপনি কতটা মুদ্রণ করবেন? নিয়মিত ব্যবহারকারীদের জন্য ইঙ্কজেট প্রিন্টার ভালো, অধিক মুদ্রণের জন্য লেজার প্রিন্টার ভালো।
- আপনার কি রঙিন মুদ্রণের প্রয়োজন? কালো ও সাদা মুদ্রণের জন্য লেজার প্রিন্টার সাধারণত কম ব্যয়বহুল, তবে রঙিন মুদ্রণের জন্য ইঙ্কজেট প্রিন্টার ভালো।
- আপনার কি উচ্চ-মানের ছবি মুদ্রণের প্রয়োজন? ফটোগ্রাফির জন্য, উচ্চ-রেজোলিউশন ইঙ্কজেট প্রিন্টার ভালো।
- আপনার কি দ্রুত মুদ্রণের প্রয়োজন? লেজার প্রিন্টার সাধারণত ইঙ্কজেট প্রিন্টারের তুলনায় দ্রুত।
বাজেট:
- প্রিন্টারের মূল্য: প্রিন্টারের দাম পরিবর্তিত হতে পারে।
- চলমান খরচ: ইঙ্ক কার্তুজ/টোনার কতটা ব্যয়বহুল তা বিবেচনা করুন।
- অন্যান্য খরচ: বিশেষ কাগজ, ওয়ারেন্টি, মেরামতের খরচ বিবেচনা করুন।
বৈশিষ্ট্য:
- সংযোগ: USB, Wi-Fi, Bluetooth ইত্যাদির মধ্যে বেছে নিন।
- স্ক্যানিং, কপিিং, ফ্যাক্সিং: আপনার কি এই অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন?
- ডুপ্লেক্স মুদ্রণ: কাগজের উভয় পৃষ্ঠে মুদ্রণ করতে পারে।
- টাচস্ক্রিন: ব্যবহার করা সহজ করে তোলে।
- আকার: আপনার কাছে কতটা জায়গা আছে?
ব্র্যান্ড এবং রিভিউ:
- খ্যাতিমান ব্র্যান্ডগুলির প্রিন্টার কিনুন।
- অনলাইনে রিভিউ পড়ুন।
কিছু জনপ্রিয় প্রিন্টার ব্র্যান্ড:
- HP
- Epson
- Canon
- Brother
- Dell
শেষ পরামর্শ:
- আপনার প্রয়োজনের জন্য সঠিক প্রিন্টার নির্বাচন করুন।
- বিভিন্ন বিক্রেতার থেকে দাম তুলনা করুন।
- ওয়ারেন্টি সহ প্রিন্টার কিনুন।
- প্রিন্টারের জন্য উচ্চ-মানের কাগজ ব্যবহার করুন।
- নিয়মিতভাবে প্রিন্টার রক্ষণাবেক্ষণ করুন।
এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সঠিক প্রিন্টার কিনতে পারবেন।
প্রিন্টারের দাম কত
প্রিন্টারের দাম নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:
- প্রিন্টারের ধরণ:
- ইঙ্কজেট প্রিন্টার: দাম ৳ 5,000 থেকে শুরু করে ৳ 50,000 টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
- লেজার প্রিন্টার: দাম ৳ 10,000 থেকে শুরু করে ৳ 1,00,000 টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
- ব্র্যান্ড: জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের প্রিন্টারগুলি সাধারণত কম পরিচিত ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশি দামি হয়।
- বৈশিষ্ট্য: স্ক্যানিং, কপিিং, ফ্যাক্সিং, ডুপ্লেক্স মুদ্রণ, টাচস্ক্রিন ইত্যাদির মতো অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি প্রিন্টারের দাম বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- মুদ্রণের পরিমাণ: যারা বেশি মুদ্রণ করে তাদের জন্য উচ্চ-ক্ষমতার প্রিন্টার কিনতে হবে, যা সাধারণত বেশি দামি হয়।
বাংলাদেশে কিছু জনপ্রিয় প্রিন্টারের দাম:
ইঙ্কজেট প্রিন্টার:
- HP DeskJet 2720e: ৳ 5,500
- Canon Pixma MG3220: ৳ 7,500
- Epson L3210: ৳ 9,000
- Brother MFC-J2730DW: ৳ 12,000
লেজার প্রিন্টার:
- HP LaserJet Pro M15w: ৳ 10,500
- Canon LaserJet LBP226dw: ৳ 13,000
- Brother HL-L2360DW: ৳ 15,000
- Samsung Xpress SL-M2885FW/XSG: ৳ 20,000
মনে রাখা জরুরী
- এই দামগুলি প্রায়শই পরিবর্তিত হয়। কেনার আগে বিভিন্ন বিক্রেতার দাম তুলনা করুন।
- অনলাইনে কেনার সময় শিপিং খরচ বিবেচনা করুন।
- কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ডিসকাউন্ট অফার করে।
আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী সঠিক প্রিন্টার খুঁজে পেতে এই তথ্য আপনাকে সাহায্য করবে।
প্রিন্টার কি ও কত প্রকার কি কি – শেষ কথা
বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রিন্টার কি, প্রিন্টার কাকে বলে, প্রিন্টার কত প্রকার ও কি কি, প্রিন্টার কি ধরনের ডিভাইস, প্রিন্টার কিভাবে কাজ করে, প্রিন্টারের কাজ কি, প্রিন্টার ব্যবহারের নিয়ম, প্রিন্টার কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত, প্রিন্টারের দাম কত ইত্যাদি প্রিন্টার সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি প্রিন্টার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদি আমাদের আজকের পোষ্টে পেয়ে যাবেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়ে থাকে নিয়মিত। আপনারা যারা এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান তারা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন। আশাকরি বিভিন্ন ইনফরমেটিভ বা তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে পারবেন প্রতিনিয়ত। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আরও পড়ুন:
▷মাউস কি? মাউস কি ধরনের ডিভাইস
▷পেনড্রাইভ কি? পেনড্রাইভ কি ধরনের ডিভাইস
▷মনিটর কি? মনিটর এর কাজ কি
▷কম্পিউটারের মূল অংশ কয়টি ও কি কি?