সহজ কথায়, ফ্রিল্যান্সিং হলো ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসে অন্য কারো কাজ করে দেওয়া এবং সেখান থেকে আয় করা।
ফ্রিল্যান্সিং বলতে বুঝায় :
– মুক্তপেশা এবং আপনি যে বিষয়ে স্কিলড সে বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
– অফিস মেইনটেইন করতে হয় না কিন্তু ঘরে বসে কাজ করতে হয়।
– পরিপূর্ণ স্বাধীনতা কিন্তু বায়ারকে ডেটলাইন অনুসারে কাজ জমা দিতে হবে।
– যতখানি কাজ করবেন ঠিক ততখানি পারিশ্রমিক পাবেন কিন্তু কাজের মান হতে হবে আন্তর্জাতিকমানের।
– ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, নাইনটি নাইন ডিজাইন ইত্যাদি) থেকে আয় করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে কিছু কাজের স্কিল থাকতে হবে। যেমন- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইভার। যেখানে একজন বায়ার তার প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সার্ভিস নিয়ে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভালো কাজ জানেন কিন্তু মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন না বা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকার কারণে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন।
আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনেকদিন যাবৎ কাজ করছেন, বেশ ভালো কিছু করেছিলেন প্রথমের দিকে কিন্তু এখন আর কাজ পাচ্ছেন না বা আপনাদের গিগ কোনোভাবেই র্যাংক করছে না। তাদের জন্য ফাইভারে সফল হওয়ার কয়েকটি সিক্রেট টিপস-
১. প্রফেশনাল ফাইভার প্রোফাইল তৈরি
২. গিগ রিসার্চ ও প্রফেশনাল গিগ তৈরি
৩. গিগ এসইও ও রেঙ্ক
৪. বায়ার রিকোয়েস্ট সঠিকভাবে পাঠানো
৫. বায়ার কমিনিকেশন
৬. ফাইভার প্রোফাইল থেকে অনলাইনে থাকা
৭. গিগ মার্কেটিং
ফাইবার মার্কেটপ্লেসের কিছু নিয়ম রয়েছে। সে নিয়মগুলো মেনে না চললে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার পূর্বে নিয়মগুলো ভালোভাবে জানতে হবে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর