কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ?

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ-কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলতে স্পর্শ করা এবং দেখা যায় এমন সমস্ত শারীরিক অংশকে বোঝায়। হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন অংশ একসাথে কাজ করে কম্পিউটারের কার্যাবলী স্বাভাবিকভাবে সম্পাদন করতে। সাধারণত, কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে পাঁচটি প্রধান অংশে ভাগ করা হয়।

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ

✅ ইনপুট ডিভাইস: এই অংশের মাধ্যমে, ব্যবহারকারী কম্পিউটারে তথ্য সরবরাহ করে। ইনপুট ডিভাইস ছাড়া কম্পিউটারে কোনো তথ্য প্রবেশ করা সম্ভব নয়। উদাহরণ: কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, মাইক্রোফোন, জয়স্টিক।

✅ প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট: এই অংশটি কম্পিউটারের মস্তিষ্ক হিসাবে কাজ করে এবং ইনপুট ডেটা প্রক্রিয়া করে। কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) এখানে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। উদাহরণ: CPU, মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স কার্ড, চিপসেট।

✅ মেমরি এবং স্টোরেজ ডিভাইস: এই অংশটি কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণ করে। মেমরি দুই ধরনের হতে পারে: অস্থায়ী (RAM) এবং স্থায়ী (হার্ড ড্রাইভ)। উদাহরণ: RAM, ROM, হার্ডডিস্ক, SSD, পেনড্রাইভ।

✅ আউটপুট ডিভাইস: এই অংশের মাধ্যমে, কম্পিউটার প্রক্রিয়াকৃত তথ্য ব্যবহারকারীর কাছে দৃশ্যমান বা শ্রবণযোগ্য উপায়ে উপস্থাপন করে। উদাহরণ: মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, প্রজেক্টর।

✅ পাওয়ার সাপ্লাই এবং কানেক্টিভিটি ডিভাইস: এই অংশটি কম্পিউটারে পাওয়ার সাপ্লাই নিশ্চিত করে এবং এটিকে অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত করে। উদাহরণ: পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (PSU), USB কেবল, নেটওয়ার্ক কার্ড, Wi-Fi অ্যাডাপ্টার।

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়:

1️⃣ সিস্টেম হার্ডওয়্যার (System Hardware)
2️⃣ পার্শ্বীয় হার্ডওয়্যার (Peripheral Hardware)

সিস্টেম হার্ডওয়্যার (System Hardware)

সিস্টেম হার্ডওয়্যার বলতে কম্পিউটারের মূল অংশগুলোকে বোঝায়, যা কম্পিউটারের কাজের জন্য অপরিহার্য। এটি আবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিভক্ত:

প্রসেসিং ইউনিট (Processing Unit):  এই অংশটি কম্পিউটারের মস্তিষ্ক হিসেবে কাজ করে এবং ইনপুটকৃত ডাটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে। কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) এখানে মূল ভূমিকা পালন করে।
উদাহরণ: CPU, মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স কার্ড, চিপসেট।

মেমোরি ও স্টোরেজ ডিভাইস (Memory & Storage Devices):  এই অংশটি কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণের কাজ করে। মেমোরি দুই ধরনের হতে পারে: অস্থায়ী (RAM) ও স্থায়ী (Hard Drive)।
উদাহরণ: RAM, ROM, হার্ড ডিস্ক, SSD, পেনড্রাইভ।

পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (Power Supply Unit – PSU): এটি কম্পিউটারের সকল অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যা কম্পিউটার চালানোর জন্য অপরিহার্য।
উদাহরণ: পাওয়ার সাপ্লাই, UPS, ব্যাটারি।

পার্শ্বীয় হার্ডওয়্যার (Peripheral Hardware)

পার্শ্বীয় হার্ডওয়্যার বলতে সেই ডিভাইসগুলো বোঝায়, যা কম্পিউটারের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য সংযুক্ত করা হয়। এটি সাধারণত দুই ধরনের হতে পারে:

ইনপুট ডিভাইস (Input Devices): এই অংশের মাধ্যমে ব্যবহারকারী কম্পিউটারে তথ্য প্রদান করে। ইনপুট ডিভাইস ছাড়া কম্পিউটারে কোনো তথ্য প্রবেশ করানো সম্ভব নয়।
উদাহরণ: কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, মাইক্রোফোন, জয়স্টিক।

আউটপুট ডিভাইস (Output Devices): এই অংশের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রক্রিয়াকৃত তথ্য ব্যবহারকারীর কাছে দৃশ্যমান বা শ্রবণযোগ্য করে উপস্থাপন করে।
উদাহরণ: মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, প্রজেক্টর।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের গুরুত্ব

✔ ইনপুট ডিভাইস ছাড়া, ব্যবহারকারী তথ্য প্রদান করতে পারে না।
✔ CPU ছাড়া কম্পিউটার ডেটা প্রক্রিয়া করতে পারে না।
✔ স্টোরেজ ছাড়া, কোন তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে না।
✔ আউটপুট ডিভাইস ছাড়া, প্রক্রিয়াকৃত তথ্য দেখা যাবে না।
✔ পাওয়ার সাপ্লাই ছাড়া কম্পিউটার চালু করা যাবে না।

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এর কয়টি অংশ-শেষ কথা

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার মূলত পাঁচটি প্রধান অংশে বিভক্ত: ইনপুট ডিভাইস, প্রসেসিং ইউনিট, মেমরি এবং স্টোরেজ, আউটপুট ডিভাইস এবং পাওয়ার সাপ্লাই এবং কানেক্টিভিটি ডিভাইস। প্রতিটি অংশ একে অপরের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে, যার কারণে কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করতে পারে।

আপনার যদি আরও প্রশ্ন থাকে তবে মন্তব্যে আমাদের জানাতে ভুলবেন না! 😊

আরও পড়ুন: 

কম্পিউটারের ৫টি হার্ডওয়্যার যন্ত্রের নাম
কম্পিউটার ব্যবহার করার নিয়ম
কম্পিউটার কয়টি ধাপে কাজ করে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন:

Leave a Comment