আকিকা না দিলে কি হয়- আকিকাকে ইসলামে একটি সুন্নত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা নবজাতকের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উপায় হিসেবে সম্পাদিত হয়। তবে অনেকে প্রশ্ন করেন, আকীকা না করলে কি হবে? এটা কি ওয়াজিব? আমল না করলে কি কোন ক্ষতি হবে? আজকের ব্লগে, আমরা আকীকা না করার সম্ভাব্য প্রভাব এবং ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এর ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা করব।
আকিকা না দিলে কি হয়?
আকিকা কি এবং এর গুরুত্ব
আকীকা হল নবজাতক শিশুর জন্মের পর পশু কোরবানি করার রীতি। এটা নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একটি সুন্নত।
Also Read
“প্রত্যেক সন্তান তার আকিকার সাথে বন্ধক থাকে, তাই তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে পশু জবাই করা, নাম রাখা ও মাথা মুন্ডন করা উচিত।” (সুনান আবু দাউদ: ২৮৩৮)
আকিকা সন্তানের কল্যাণের জন্য করা হয় এবং এটি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম। তবে এটি ফরজ বা ওয়াজিব নয়, বরং মুস্তাহাব (উত্তম আমল)।
আকিকা না দিলে কি কোনো পাপ হয়?
আকীকা করা একটি সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ (গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত), তবে এটি ফরজ বা ওয়াজিব নয়। তাই আকীকা না করায় কোন গুনাহ নেই। যাইহোক, এটি করা অনেক উপকার এবং আশীর্বাদ নিয়ে আসতে পারে।
আকিকা না করলে কী হতে পারে?
- সন্তানের সুন্নত অনুযায়ী একটি কল্যাণকর আমল ছুটে যেতে পারে।
- শয়তানের প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাওয়ার একটি সুযোগ হারানো যেতে পারে।
- নবী (সা.)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালন না করার কারণে সওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়া যেতে পারে।
আকিকা পরবর্তী সময়ে করা যায় কি?
হ্যাঁ, আকিকা নির্দিষ্ট সময়ে না করতে পারলে পরবর্তীতে করা যায়। অনেকে আর্থিক অসুবিধার কারণে নবজাতকের সপ্তম দিনে আকিকা করতে পারেন না, তবে সামর্থ্য হলে পরবর্তী যেকোনো সময় এটি করা যায়।
আকিকা না দিলে কি দুনিয়াবি কোনো ক্ষতি হয়?
আকিকা না দিলে সরাসরি কোনো দুনিয়াবি ক্ষতি হয় না। তবে এটি একটি বরকতময় সুন্নত, যা পালন করলে শিশুর জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। অনেক আলেমের মতে, এটি করা হলে সন্তানের জন্য দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং শয়তানের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আকিকা না দিলে কি হয়-শেষ কথা
আকীকাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী রীতি, কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক নয়। সামর্থ্য থাকলে করা উত্তম, কিন্তু সামর্থ্য না থাকলে কোন পাপ নেই। তবে যারা এটি করতে সক্ষম তাদের জন্য এটি আরও ভাল।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন যাপন করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
আপনি যদি আকীকাহ সম্পর্কে আরও জানতে চান, তাহলে আমাদের ব্লগ পড়তে থাকুন এবং শেয়ার করুন।
আরও পড়ুন:
▷ ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম
▷ মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম
▷ আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম