আউজুবিল্লাহ অর্থ কি – আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম বাংলা অর্থ

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম বাংলা অর্থ কি – আউযুবিল্লাহ অর্থ কি সেই বিষয়ে অনেকে জানতে চান। যারা আউযুবিল্লাহ অর্থ কি জানতে আগ্রহী তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোষ্টের আয়োজন। আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম কি কোরআনের আয়াত এই প্রশ্ন যাদের মনে জাগে তাদের জন্যও উত্তর রয়েছে আমাদের আজকের এই পোস্টে।

আউজুবিল্লাহ অর্থ কি, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম বাংলা অর্থ, আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম কি কোরআনের আয়াত;
আউজুবিল্লাহ অর্থ কি-আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম বাংলা অর্থ

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম বাংলা অর্থ কি এবং আউযুবিল্লাহ অর্থ কি সহ আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম কি কোরআনের আয়াত জানার জন্য পোস্টটতে আপডেট থাকুন।

শুরু করার আগে দেখে নিনঃ

পেজ সূচিপত্রঃ আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম বাংলা অর্থ কি 

আউযুবিল্লাহ অর্থ কিঃ

আউযুবিল্লাহ অর্থ কি তা নিয়ে যাদের জানার আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য উত্তর হলো আউযুবিল্লাহ অর্থ আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। যখনই আপনার জীবনে খারাপ কিছু ঘটবে তখনই মনে মনে আউযুবিল্লাহ পড়বেন। আল্লাহ আপনাকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবে ইনশাআল্লাহ। আউযুবিল্লাহ অর্থ কি তা জেনে বেশি বেশি করে আউযুবিল্লাহ পড়ুন। আউযুবিল্লাহ অর্থ কি তা জেনে পাঠ করলে আপনি আরও ভক্তি সহকারে বেশি বেশি আউযুবিল্লাহ পড়তে উদ্বুদ্ধ হবেন আশাকরি । 

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম বাংলা অর্থ কি?

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম বাংলা অর্থ কি তা আমাদের অনেকেরই জানা নাই। যারা আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম বাংলা অর্থ কি তা জানার চেষ্টায় আছেন তাদের জন্যই মুলতঃ আমাদের আজকের এই পোস্ট। এই পোস্টে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম বাংলা অর্থ কি জানা ছাড়াও আউযুবিল্লাহ অর্থ কি এবং আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম কি কোরআনের আয়াত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

উচ্চারণ: ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম’

বাংলা অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম কেন পাঠ করা প্রয়োজন তা জেনে নিইঃ 

কোরআন মজীদ তেলাওয়াতের শুরুতে, নামাজে শয়তান ওয়াসওসা (কুমন্ত্রণা) থেকে মুক্তি পেতে, রাগের সময়,  খারাপ স্বপ্ন দেখলে,  মনের মধ্যে শয়তান কুমন্ত্রনা দিলে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম পড়তে হয়। 

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম পড়ে আপনি আল্লাহর নিকট শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে রক্ষা পাবার জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারবেন। অনেক সময় শয়তান আমাদেরকে ইচ্ছে করে পথভ্রষ্ট করতে চাই তখন আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শয়তানের বদ নজর থেকে উদ্ধার করেন। 

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম কি কোরআনের আয়াত? 

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম কি কোরআনের আয়াত এই নিয়ে কোরআনে কি বলা হয়েছে চলুন সেই বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।  

কেন এই সকল সময়ে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম পড়া দরকার তা দেখে নেইঃ

১। কোরআন তেলাওয়াতের শুরুতেঃ

কোরআন তেলাওয়াতের সময় যাতে শয়তান যাতে ধোঁকা দিতে না পারে তার জন্য কোরআন তেলাওয়াতের পূর্বে আল্লাহর কাছে শয়তানের কাছ থেকে আশ্রয় চাওয়ার নিদের্শ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآَنَ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

‘যখন তুমি কোরআন তেলাওয়াত করবে তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে’(সূরা: নাহল, আয়াত: ৯৮)।

২। নামাজে শয়তান ওয়াসওসা দিলেঃ

عن عُثْمَانَ بْن أَبِي الْعَاصِ رضي الله عنه أنه أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ حَالَ بَيْنِي وَبَيْنَ صَلَاتِي وَقِرَاءَتِي يَلْبِسُهَا عَلَيَّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ لَهُ خَنْزَبٌ ، فَإِذَا أَحْسَسْتَهُ فَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْهُ وَاتْفِلْ عَلَى يَسَارِكَ ثَلَاثًا قَالَ : فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ عَنِّي .

ওসমান বিন আবুল ‘আস (রা.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! শয়তান আমার মধ্যে এবং আমার সালাত ও কেরাআতের মধ্যে অন্তরায় হয়ে আমার কেরাআতে জটিলতা সৃষ্টি করে। 

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম কি কোরআনের আয়াত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এ হচ্ছে শয়তান, যাকে ‘খিনযাব’ বলা হয়। তুমি তার আগমন অনুভব করলে আল্লাহর নিকট তিনবার আশ্রয় প্রার্থনা করবে (এর মানে হচ্ছে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রাজীম পাঠ করবে এবং বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলবে।)’’

তিনি (ওসমান রা.) বলেন, ‘এরপর থেকে আমি এমনটি করি। ফলে আল্লাহ শয়তানকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেন।’ (সহিহ মুসলিম হা/২২০৩)।

৩। রাগের সময়: 

রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। তাই রাগের সময় শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। সুলায়মান ইবনু সূরাদ (রা.) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন দু’জন লোক গালা গালি করছিল। তাদের একজনের চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল এবং তার রগ গুলো ফুলে গিয়েছিল। 

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

إِنِّي لأعلَمُ كَلِمةً لَوْ قَالَهَا لَذَهَبَ عنْهُ مَا يجِدُ، لوْ قَالَ: أَعْوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ذَهَبَ منْهُ مَا يجدُ

‘আমি এমন একটি দোয়া জানি, এই লোকটি তা পড়লে তার রাগ দূর হয়ে যাবে। সে যদি পড়ে ‘আউযুবিল্লা-হি মিনাশ শায়তানির রাজীম’ তবে তার রাগ চলে যাবে।’

তখন সুলায়মান তাকে বলল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তুমি আল্লাহর নিকট শয়তান থেকে আশ্রয় চাও। সে বলল, আমি কি পাগল হয়েছি?।’ (বুখারি ও মুসলিম)।

৪। খারাপ স্বপ্ন দেখলে: 

জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

إِذَا رَأَى أَحَدُكُمُ الرُّؤْيَا يَكْرَهُهَا، فَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ ثَلَاثًا وَلْيَسْتَعِذْ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ ثَلَاثًا وَلْيَتَحَوَّلْ عَنْ جَنْبِهِ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ

‘যদি তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে যা সে পছন্দ করে না, তাহলে তিনবার বাম দিকে থুথু দেবে। আর তিন বার শয়তান থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় চাবে (অর্থাৎ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম পাঠ করবে।) আর যে পার্শ্বে শুয়েছিল, তা পরিবর্তন করবে। (অর্থাৎ পার্শ্ব পরিবর্তন করে শুবে)।’ (সহিহ মুসলিম)।

৫। মনের মধ্যে শয়তান কুমন্ত্রনা দিলে: 

আল্লাহ বলেন,

إِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّـهِ

‘শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ’ (সূরা: আ‘রাফ, আয়াত: ২০০; ফুসসিলাত: ৩৬)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন:

Leave a Comment